পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৮-১৯ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে জাতীয়তাবাদী প্যানেল। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ‘নীল’ প্যানেল সভাপতি, সম্পাদক, দুই সহ সভাপতিসহ ১০টি পদে জয়ী হয়েছে। আর সরকার সমর্থক ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ‘সাদা’ প্যানেল মাত্র চারটি পদে জয়ী হয়েছে।
সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন ৫৪ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। জয়নাল আবেদীন পেয়েছেন ২৩৬৯ ভোট।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদে সাদা প্যানেলে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। সম্পাদক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলে বর্তমান সম্পাদক এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ৪৪১ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন। খোকন পেয়েছেন ২৬৬০ ভোট। সহ সভাপতি পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের ড. মো: গোলাম রহমান ভূঁইয়া, এম গোলাম মোস্তফা জয়ী হয়েছেন।
কোষাধ্যক্ষ পদে নাসরিন আক্তার নাসরিন আখতার জয়ী হয়েছেন। সহসম্পাদক কাজী জয়নুল আবেদীন জয়ী হয়েছেন।
সদস্য পদে সাইফুর আলম মাহমুদ, মাহফুজ বিন ইউসুফ, আহসান উল্লাহ ও মো: মেহদী হাসান জয়ী হয়েছেন।
সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদ থেকে সহসম্পাদক মো: আবদুর রাজ্জাক জয়ী হয়েছেন। এই প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়ী হয়েছেন আশরাফুল হাদী, শেখ মো. মাজু মিয়া।
এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের ২০১৮-১৯ সালের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে হয়। নির্বাচনে ছয় হাজার ১৫২ ভোটারের মধ্যে দুই দিনে সর্বমোট চার হাজার ৮৯৬ জন ভোট দিয়েছেন। গতকাল দ্বিতীয় দিনে দুই হাজার ২৮৭ জন ভোটার ভোট দেন। এর আগে গত বুধবার প্রথম দিনে দুই হাজার ৬০৯ জন আইনজীবী ভোট দেন। গতকাল বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপর রাত ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। দলীয় প্রার্থীদের জয়ী করতে আইনজীবীদের ভোট উৎসবে ছিলেন বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক শীর্ষ আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের সামনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী মওদুদ আহমদ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের অন্যতম নেতা আবদুল বাসেত মজুমদার, পরিষদে সদস্যসচিব শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
নির্বাচনে সভাপতি-সম্পাদকসহ ১৪টি পদে মোট ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ‘নীল’ প্যানেল এবং সরকার সমর্থক ‘সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ‘সাদা’ প্যানেলের মধ্যে। এ ছাড়া বিভিন্ন পদে আরও পাঁচজন আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এর আগে, ২০১৭-১৮ সেশনের নির্বাচনে ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ মোট আটটি পদে জয়ী হয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল)। অন্য দিকে সরকার সমর্থক সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) পেয়েছিল সহসভাপতি ও সহসম্পাদকসহ ছয়টি পদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।