বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চীনা রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জিমিং বলেন, চীন রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা জানি রোহিঙ্গা শরনার্থী নিয়ে বাংলাদেশ অস্বস্তিতে রয়েছে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধানে তার দেশ চীন সচেষ্ট রয়েছে। চীনা রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জিমিং বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ২৫০ বেডের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মেডিকেল সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে
চাইনা এম্বেসি কর্তৃক প্রয়োজনীয় ১১ প্রকার মেডিকেল সামগ্রী প্রদান অনুষ্ঠান সকাল সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।
সদর হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের সভাপতি ও কক্সবাজার সদরের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সামগ্রী প্রদান করেন চীনের রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জিমিং।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তথয়াবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান। তিনি বলেন, নানা কারণে এখন কক্সবাজারের গুরুত্ব বেড়েগেছে। কক্সবাজার এর জনসাধারণের সাথে বড় একটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ রয়েছে। এছাড়া চীবসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা রয়েছেন কক্সবাজারে। তাই ২৫০ সিটের হাসপাতাল যতেষ্ঠ নয়। এটি সম্প্রসারণ ও এর সেবা কার্যক্রম বাড়ানো দরকার।
সভায় জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ চীন সরকারের এই সহযোগিতার ধন্যবাদ জানিয়ে
বলেন, চীন বরাবরই বাংলাদেশের বন্ধু।
আরআরআরসি শাহ রেজোয়ান হায়াত বলেন, চীনের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। হাসপাতালে এই প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান বন্ধুত্বের নিদর্শন।
করোনাকালীন সময়ে ইউএনএইচসিআর এর
সহযোগিতায় সেবা কার্যক্রম সমপ্রসারণ করা হয়েছে জানিয়ে
ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি ড. এলেন মাইনা এই হাসপাতালে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, চীন সরকারের সাথে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক রয়েছে। কক্সবাজার বাংলাদেশের পর্যটন শহর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।
ইতোমধ্যেই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করা হয়েছে। কক্সবাজারে একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল দরকার। চীন সরকারের পক্ষ থেকে হাসপাতালে মেডিকেল সামগ্রী প্রদানে তিনি চীনা রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জিমিং এবং চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, চীন সরকার আরো বৃহত্তর আকারে এই হাসপাতাল সম্প্রসারণে এগিয়ে আসবেন।
লি জি মিং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে চীনে সুসম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও এটি অব্যহত থাকবে। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আধুনিকায়নে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
সকালে চীনা রাষ্ট্রদূত মিঃ লি জি মিং কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে হাসপাতালের সভাপতি এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল ও
হাসপাতালের তথয়াবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান তাঁকে স্বাগত জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।