পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, অবৈধ ও অমর্যাদাকর বিপদজনক এমন যাত্রা সবার আগে বন্ধ করা দরকার। আমরা অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে আনবো। কিন্তু আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কান্ট্রিডিরেক্টর আমার সঙ্গে দেখা করে বলে গেলেন, যাদের লিবিয়া থেকে ফেরত আনা হয়, তারা আবারও একই পথ অবলম্বন করেন। এটা বন্ধ করা দরকার। যদিও এমন প্রবণতা আগের চেয়ে কমে এসেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে লিবিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ ছিল। এখন সেটা আবার চালু হয়েছে। বেশিরভাগ স্কিল্ড লোকজন হাজার হাজার ডলার বেতনের চাকরি নিয়ে সেখানে যাচ্ছেন। যদিও সেখানে অস্থিরতা চলছে। দুই অংশে দুই সরকার। তবু তাদের কিছু থেমে নেই। লিবিয়ায় অবৈধ যাত্রা থামাতে তিনি জনসচেতনতা তৈরিতে জনগণ ও গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়েছেন।
অপরদিকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, লিবিয়া হয়ে সমুদ্র ইউরোপ যাত্রা বন্ধে ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়ার চিন্তা করছে সরকার। তিনিও এজন্য গণমাধ্যমের সহায়তা চেয়েছেন। এদিকে ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া ৫ শতাধিক বাংলাদেশির মধ্যে ৪০০ জনের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
লিবিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল এস এম শামিম-উজ জামান বলেন, দূতাবাসের তৈরি করা টিম আটকদের সঙ্গে ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে কথা বলেছে। তারা দুইদিনে প্রায় ৪০০ জনের ইন্টারভিউ নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। যেহেতু তারা অবৈধভাবে গেছেন। ফলে তাদের কাছে পাসপোর্ট বা অন্য কোনো ডকুমেন্ট নেই। রাষ্ট্রদূত বলেন, এর মধ্যে ২৪৪ জন দেশে ফেরতে রাজি। তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে।
আইওএম’র মাধ্যমে তাদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরানো হবে। ওই দলে আরও প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি (ডিটেনশন সেন্টারে) রয়েছেন। দু’এক দিনের মধ্যে তাদের সাক্ষাৎকার নেবে দূতাবাস টিম। সেখানেও দেশে ফিরতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি পাওয়া যাবে।
ত্রিপোলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ঢাকায় পাঠানো ‘লিবিয়ায় উপকূল থেকে ৫০০ জন বাংলাদেশি উদ্ধার’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানায়, লিবিয়ার জাওয়ারিখ উপকূল থেকে একটি ট্রলারে করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রাকালে দেশটির কোস্টগার্ড ৫০০ বাংলাদেশি নাগরিকসহ ৬০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করে। দূতাবাস থেকে তাৎক্ষণিকভাবে লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তর এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল লিবিয়ার উপকূল থেকে উদ্ধারকৃত অভিবাসীদের একটি নৌকা হতে ৫০০ বাংলাদেশিসহ ৬০০ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা সকলেই শারীরিকভাবে সুস্থ আছে। তাদেরকে বর্তমানে ত্রিপোলি শহরের তারিক মাতার ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ওই বাংলাদেশিদের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দেয়া এবং স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত যেতে আগ্রহীদের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহায়তায় দেশে পাঠাতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই লক্ষ্যে দূতাবাস থেকে লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তর, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টার কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রচেষ্টা চলছে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫২৮ জন বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিসরাতা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃপক্ষ আটকের বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছে। আটকরা অবৈধভাবে সমুদ্র পাড়ি দিচ্ছিলেন বলে মিসরাতা পুলিশ উল্লেখ করে। আটকদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। তারা নৌকাযোগে ইউরোপ পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।