মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শেষ হল দরদাম। টুইটার কিনেই নিলেন আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের পুরো শেয়ার কিনতে খরচ পড়ল ৪,৪০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। শেয়ার কেনার জন্য পুরো টাকাটাই মাস্ক নগদে দিচ্ছেন।
দুই সপ্তাহ আগে মাস্ক টুইটার কেনার জন্য প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, টুইটারের ‘অনেক সম্ভাবনা’ আছে এবং তিনি সেটি কাজে লাগাবেন। টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা এবং কনটেন্ট-এর উপর বিধিনিষেধ শিথিল করাসহ বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছেন তিনি। প্রথমদিকে মাস্কের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছিল টুইটার বোর্ড। কিন্তু এখন তারা বলছে, বিক্রির পক্ষে ভোট দেবার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের আহবান জানাবে।ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকা অনুযায়ী, ইলন মাস্ক বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, যার সম্পদ প্রায় ২৭৪ বিলিয়ন ডলার। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠা স্পেস-এক্স -এর মালিক ইলন মাস্ক। টুইটার কেনার প্রস্তাব দেবার সময় মাস্ক বলেছিলেন, তিনি আরো বেশি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেখতে চান।
টুইটার কেনার জন্য মাস্ক এমন এক সময়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যখন সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটির সমালোচনায় মুখর হন মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো। টুইটারে ভুয়া খবর এবং ভুল তথ্যের বিষয়গুলোকে যেভাবে মোকাবেলা করা হচ্ছিল, সেগুলো নিয়ে সমালোচনা উঠেছে। গত বছর আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে নিষিদ্ধ করা হয়। ‘সহিংসতা উস্কে দিতে পারে’ এমন আশঙ্কায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলে টুইটার। ইলন মাস্কের টুইটার কেনার প্রস্তাবে আমেরিকার ডানপন্থী রাজনীতিবিদরা বেশ খুশি। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, টুইটারে আবার ফিরে যাবার তার কোন পরিকল্পনা নেই।
টুইটারে মাস্কের আট কোটির বেশি ফলোয়ার আছে। এই প্লাটফর্মে তার বিতর্কিত ইতিহাসও রয়েছে। সাংবাদিকদের সাথে মাস্কের যেমন বিরোধ আছে, তেমনি সমালোচনা করার কারণে তিনি টুইটারে অনেক ব্যক্তিকে ব্লকও করেছেন। এখন তিনি বলছেন, টুইটার হচ্ছে একটি বিতর্কের ফোরাম। ‘আমি আশা করি, আমার সবচেয়ে কড়া সমালোচকও টুইটারে থাকবে। কারণ এটাই হচ্ছে বাক স্বাধীনতা,’ বলেন মাস্ক।
কয়েক দিন আগেই প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছিলেন ইলন। এ বার পুরো মালিকানাই হল তার। মাস্কের দাবি, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন টুইটার বিশ্ব জুড়ে বাক্স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরেই নাকি তিনি উপলব্ধি করছেন যে, বর্তমান অবস্থায় তা কখনই সম্ভব নয় টুইটারের পক্ষে। তাই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা হিসেবে এর বদল ঘটানোই তার লক্ষ্য। সূত্র : বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।