নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) শিরোপা জিতল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে শেখ জামাল ৪ উইকেটে হারায় আবাহনীকে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আবাহনী। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে জামাল বোলারদের নৈপুণ্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২৯ রানের বেশি করতে পারেনি আবাহনী। মোসাদ্দেক হোসেনদের ছুঁড়ে দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৩২ রান করে দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল। আর এ জয়ের মধ্যদিয়েই ডিপিএলের প্রথম শিরোপার দেখা পেল অভিজাত পাড়ার দলটি। ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ পয়েন্ট পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ জামাল। লিগে এখনো এক ম্যাচ বাকি আছে তাদের।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্রুত ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শেখ জামাল। বিপদের মুহূর্তে দলের কা-ারি হয়ে দাঁড়ান নূরুল হাসান সোহান। তার ৮১ বলে হার না মানা ৮১ রানের ইনিংসের কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল। সোহানের দারুণ ইনিংসে ৮ চার ও ২ ছয়ের মার ছিল। সোহান মাঠে আসার পর ইমরুল কায়েস ১৫ ও রবিউল ইসলাম ৩ রান করে ফেরেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে পারভেজ রসুলকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয় সোহানের লড়াই। এ দুই জনে থিতু হয়ে উল্টো আবাহনীর উপর চাপ বাড়িয়ে দেন। সোহান-রসুল জুটি থেকে আসে ৭২ রান। নাজমুল হোসেন শান্তর বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন রসুল। তিনি ৪০ বলে ৩ চারের মারে করেন ৩৩ রান। রসুলকে ফিরিয়ে দিলেও সোহানকে টলানোর মতো যেন কোনো বোলার ছিল না আবাহনীতে। ফলে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান সোহান। দৃষ্টিনন্দন চার-ছয়ে মাতিয়ে রাখেন শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। ৬১ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে দেখা পান ফিফটির। রসুল ফিরলে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে শুরু হয় সোহানের জয়ের মিশন। দু’জনে ৮২ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। জিয়া ২৬ বল খেলে ৪ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮ ওভার বল করে ৩৬ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আবাহনীর সেরা বোলার।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আবাহনী শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে। তারা ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১৬ রান করে ফেরেন পারভেজ রসুলের শিকার হয়ে। লিটন দাস ৪ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ৮ রান করে আউট হন। এরপর প্রতিরোধ গড়েন তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে ২৩.১ ওভারে সাইফ হাসানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আফিফ। আউট হওয়ার আগে ৪৪ বলে ২ চার ও ১ ছয়ের মারে ২৯ রান করেন আফিফ। ২৮.৫ ওভারে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন আউট হন। তিনি ১৭ বলে একটি করে চার ও ছয়ের মারে করেন ১৫ রান। আর ৩৯তম ওভারে সানজামুল ইসলামের শেষ বলে মিড অনে জামাল অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ক্যাচের শিকার হন হৃদয়। ফিরে যাওয়ার আগে ৭৫ বলে ৪ চারের মারে তিনি করেন ৫৩ রান। ১৫৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আবাহনীকে রক্ষা করেন সাইফউদ্দিন ও জাকের আলী অনিক। দু’জনে ৭৫ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকে। জাকের আলী ৭০ বলে ৪ চারে ৪৭ ও সাইফউদ্দিন ৩৩ বলে ৫ ছয়ের মারে হার না মানা ৪৪ রান করেন । আর এতেই ২২৯ রানের স্বল্প পুঁজি পায় আবাহনী। শেখ জামালের জিয়াউর রহমান দশ ওভার বল করে ৩৬ রানে পান ২ উইকেট। ম্যাচসেরা হন নূরুল হাসান সোহান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।