Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অবৈধ সুবিধার জন্য হাসপাতালের সচল অ্যাম্বুলেন্স অচল!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২২, ৫:৩০ পিএম

অবৈধ সুবিধা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট দেখানো হয়েছে। এরপর মিথ্যা বিল ও ভাউচারে মেরামতের নামে চলে লুটপাট। সোমবার (২৫ এপ্রিল) রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফের নেতৃত্বে এনফোর্সেমেন্ট টিমের অভিযানে মিলেছে এমন অভিযোগের সত্যতা।

পীরগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগসহ বিভিন্ন বিল, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন নামে-বেনামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক ( জনসংযোগ) মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক জানায়, রংপুরের পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজসহ একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে বেতন বিল, বোনাস বিল, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা ও বৈশাখী ভাতার অর্থ ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে আর্থিক দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম এবং সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে এনফোর্সেমেন্ট টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি বাসা যারা বরাদ্দ নিয়েছেন তারা বিধি মোতাবেক বাসার ভাড়া যথাযথভাবে সরকারি খাতে জমা করছেন কিনা তা যাচাই করতে নথি সংগ্রহ করা হয়।

অভিযোগ ছিল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা দুটি। তিনি যোগদান করার পরপরই পুরাতন বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিক্রয় করে একটি অ্যাম্বুলেন্সের চলাচলের অযোগ্য করে ফেলেন। অ্যাম্বুলেন্সের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ যেসব বিল ও ভাউচার প্রস্তুত করেন সেগুলোর অধিকাংশই মিথ্যা। এসব মিথ্যা বিল ও ভাউচারে তার স্বাক্ষর ও সিলের নীচে দুজন প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষকই স্বাক্ষর প্রদান করেননি। কারণ তারা দুইজনই জানতেন ওইসব মিথ্যা বিল ও ভাউচার শুধুমাত্র টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ প্রক্রিয়া মাত্র।

অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য বরাদ্দ দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু আল হাজ্জাজের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ির জ্বালানি ও মেরামত খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার করে হয়েছে কিনা তা যাচাই এর জন্য লগ বই এবং সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার জব্দ করা হয়। এছাড়া করোনাকালীন সরকারি বরাদ্দ সমূহ নির্ধারিত খাতে ব্যয় হয়েছে কিনা তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ড পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র যাচাই করে প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে টিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ