গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকার কলাবাগানে শিশুদের খেলার মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদকারী সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলেকে আটক করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এনিয়ে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আটকের পর সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলের মুক্তির দাবিতে ঢাকার কলাবাগান থানার সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও মানবাধিকারকর্মী ও উদীচীর নেতা–কর্মীরা রয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের হাতে থাকা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ফেসবুকে শেয়ার করা হয়। যেখানে লেখা দেখা যায়, ‘হে পুলিশ আমার মা কই’, ‘পুলিশ আমার বোন কোথায়’, ‘পুলিশ আমার ভাই কোথায়’, ‘মাঠ দখল করে থানা চাই না’ ইত্যাদি স্লোগান।
যদিও পুলিশ এলাকাভিত্তিক আন্দোলনের সংগঠক সৈয়দা রত্না এবং তার ছেলেকে আটক করার পর রবিবার দিবাগত রাতে ছেড়ে দেয়। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিতোষ চন্দ্র জানান, সৈয়দা রত্না মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
রাজধানীর পান্থপথের উল্টো দিকের গলির পাশে একটি খোলা জায়গা রয়েছে। এটি তেঁতুলতলা মাঠ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় শিশুরা সেখানে খেলাধুলা করে। পাশাপাশি মাঠটিতে ঈদের নামাজ, জানাজাসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান হয়।
এই মাঠ কলাবাগান থানার স্থায়ী ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই এর প্রতিবাদ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আব্দুর রমান মিল্টন ফেসবুকে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রের এ কি কুৎসিত চেহারা!
সৈয়দা রত্না আপা তো নিজের জন্য খেলার মাঠ রক্ষার আন্দোলন করছেন না। তিনি দেশের নতুন প্রজন্ম কে সুস্থ, সবল ও সুঠাম দেহের অধিকারী হিসাবে দেখতে চান। তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চান। তাই সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়ছেন। অদম্য প্রতিবাদ চালিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন। আর এসবের বিপরীতে একি দেখলাম! রাষ্ট্রের একি কুৎসিত চেহারা? একজন সৈয়দা রত্না কে ঠেকাতে এত আয়োজন? ধিক... শতাধিক।
রাজধানীর কলাবাগান তেঁতুলতলা খেলার মাঠ রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী ও সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না আপা ও তাঁর এসএসসি পড়ুয়া ছেলেকে হেনস্থা, আটকের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’’
সমালোচনাকরে আনিসুর রহমান লিখেছেন, ‘কলাবাগানে খেলার মাঠ রক্ষায় আন্দোলন করে আটক হওয়া মা-ছেলেকে অবশেষে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। কতটা নির্লজ্জ, নিষ্ঠুর আর অমানবিক হলে এভাবে আটক করা যায়!এই সাহসী মা-সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা।’
সাহসী মায়ের প্রশংসা করে মেসবাহ ইউ আহমেদ লিখেছেন, ‘‘এমন মা আছেন বা ছিলেন বলেই স্বাধীনতা পেয়েছিলাম মাত্র নয় মাসেই।
এমন মা রাই আগামীর দেশপ্রেমিক, সচেতন ও ধরিত্রী বান্ধব সন্তান তৈরী করছেন তীব্র পরিবেশ বিরোধী বর্তমান অপব্যবস্থাপনায়।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।