Inqilab Logo

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

১ম বিশ্বযুদ্ধের মারণাস্ত্র ‘ধাতব তীর’ বুচায় ব্যবহার করেছে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২২, ১১:১৭ পিএম

রাশিয়ার দখলদারিত্বের সময় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের সাক্ষী হয়েছে ইউক্রেনের বুচা শহর। বুচা নগরীতে রাশিয়ার ধ্বংসযজ্ঞের সময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত ক্ষুদে ধাতব তীরের আঘাতে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার এক ধরনের বিশেষ আর্টিলারির শেল থেকে এসব তির ছোড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। -দ্য গার্ডিয়ান

বুচার অনেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, রুশ সৈন্যরা বুচা শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ফ্লেচেৎ রাউন্ড নামে পরিচিত এসব ক্ষুদে তীর ছুড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই ধাতব তির ব্যবহারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে এই অস্ত্র নিষিদ্ধ নয়। বুচায় নিহত বেসামরিক নাগরিকদের ময়নাতদন্ত করার সময় বেশ কয়েকজনের বুকে এবং মাথার খুলিতে ক্ষুদে তির পাওয়া গেছে। দ্য গার্ডিয়ানের সাথে আলাপকালে ইউক্রেনীয় ফরেনসিক চিকিৎসক ভ্লাদিস্লাভ পিরোভস্কি বলেছেন, আমরা পুরুষ এবং নারীদের শরীরে বেশ কিছু পাতলা, পেরেকের মতো বস্তু পেয়েছি। এই অঞ্চলে আমার অন্যান্য সহকর্মীরাও তা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, এসব তীর শরীরে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। তিরগুলো অনেক পাতলা। আর মৃতদেহের বেশিরভাগই বুচা-ইরপিন অঞ্চল থেকে এসেছে। গার্ডিয়ানের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় মানব-বিরোধী এই ধরনের অস্ত্র ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সাধারণত বন্দুকের একটি শেলে ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের অসংখ্য ফ্লেচেৎ থাকে। গুলি ছোড়ার পর এই শেলগুলো বিস্ফোরিত হয় এবং মাটির ওপরে বিস্ফোরণ ঘটায়। এর ফলে ৩০০ মিটার চওড়া এবং ১০০ মিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এসব তির।

ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর সবচেয়ে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞের শিকার হয়েছে যে কয়েকটি শহর, তারমধ্যে বুচা অন্যতম। রুশ সৈন্যরা শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেখানে অনেক গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। জাতিসংঘের একটি নজরদারি মিশন কিয়েভের কাছের এই শহর পরিদর্শনের পর বলেছে, সেখানে ৫০ জন বেসামরিককে রুশ সৈন্যরা হত্যা করেছে। তাদের মধ্যে অনেককে সরাসরি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ