মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম দুই সদস্য দেশ ফ্রান্স ও জার্মানি রাশিয়ার কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক সরবরাহ বিক্রি করেছে। ন্যাটোর আরেক সদস্য দেশ তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা করেই রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনেছে।
আমরা জানি যে, ন্যাটোর প্রধান ভূমিকা ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং পরবর্তীকালে রাশিয়াকে, ন্যাটো দেশগুলোর বাইরে রাখা। প্রাথমিকভাবে পশ্চিম ইউরোপে সম্প্রসারিত হলেও পরবর্তীতে কিছু সাবেক ওয়ারশ চুক্তিভূক্ত রাষ্ট্রও যোগ দেয়। এটি একটি প্রতিরক্ষণমূলক জোট। সে কারণে জার্মানি দাবি করছে যে, ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠালে এটি তাদের ন্যাটো প্রতিশ্রুতির খেলাপ হবে। তবে বাস্তবে রাশিয়ার জ্বালানির উপরে তাদের নির্ভরতাই এর মূল কারণ বলে মনে করেন অনেকেই।
এখন ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান শুরুর পরে সবাই বুঝতে পেরেছে যে ভ্লাদিমির পুতিন, যাকে একজন ঠান্ডা এবং যুক্তিবাদী মনে করা হতো, প্রয়োজনে তিনি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইইউ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পুতিনের পক্ষে সমাবেশও হয়েছে। বর্তমানে ইউরোপের মধ্যে ইউক্রেনের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী এবং নির্ভরযোগ্য মিত্র হচ্ছে ব্রিটেন।
জার্মানি এবং ফ্রান্স রাশিয়ার কাছে শুধু অস্ত্রই বিক্রি করেনি, জার্মানি চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ এবং ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ পুতিনের সাথে সম্পর্কও বজায় রেখেছেন। ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন তো ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে মুখে কুলুপ আটকে রেখেছেন। তদ্ব্যতীত, জার্মানির আর্থিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও, শলৎজ এমনকি রাশিয়ান এলএনজি বাতিল করার সীমিত খরচ শোষণ করতে অস্বীকার করেছেন, যখন ম্যাখোঁ পুতিনের সাথে মধ্যস্থতা করার ভান করে নির্বাচনী সুবিধা নিতে চেয়েছেন।
ন্যাটোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্য দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও তুরস্কের ভূমিকার কারণে এটি রাশিয়ার বিরুদ্ধে তেমন কোন শক্তিশালী অবস্থান নিতে পারছে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ বিষয়ে অনেকবার হতাশা প্রকাশ করেছেন। ফলে পুতিন আরও শক্তিশালী হয়েছেন, একই সাথে রাশিয়ার পাশাপাশি ইউরোপেও তার জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।