Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাম্পত্য কলহের জেরে মিরপুরের গৃহবধূ লিপিকে হত্যা করে আবজাল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২২, ৭:০০ পিএম

রাজধানীর মিরপুরে গৃহবধূ লিপি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। এ ঘটনায় স্ত্রী লিপিকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আবজাল মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনাল টিম। রবিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর বিমানবন্দর কাওলা রেলগেট এলাকার সাঈদ মিয়ার হোটেলে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার এসব তথ্য জানান। মানস কুমার পোদ্দার বলেন, আবজাল মোল্লা এবং ভিকটিম লিপি খাতুন উভয়ের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। আট বছর আগে আবজাল মোল্লার সঙ্গে ভিকটিম লিপি খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। ১৬ বছর বয়সী মেয়ের বাবা লিপির প্রথম স্বামী। আবজাল ও লিপি গত দুই বছর ধরে মিরপুর উত্তর পীরেরবাগ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। বিয়ের পর থেকে অভিযুক্ত আবজাল ভিকটিম লিপিকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত ১৭ এপ্রিল আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টায় লিপির মেয়ে গার্মেন্টস থেকে কাজ করে বাসায় ফিরে দেখে ভিকটিমের ওড়নার এক প্রান্ত দিয়ে তার গলায় একাধিক গিঁট দেওয়া ও অপর প্রাপ্ত মুখের উপর দেওয়া। তাদের ঘরের দরজা খোলা। পরে ভিকটিমের মেয়ে তার মায়ের মুখের ওড়না সরালে নাক ও মুখ রক্তাক্তসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন দেখতে পায়। তিনি আরও বলেন, আবজালকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আবজাল ও লিপির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ঘটনার দিন কলহের এক পর্যায়ে আবজাল লিপিকে তার ব্যবহৃত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

এছাড়া আবজাল নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানায়। জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আবজাল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এয়ারপোর্ট এলাকায় চলে যায়। এয়ারপোর্টের সামনের ওভারব্রিজে রাতযাপন করে পরের দিন বিমানবন্দর কাওলা রেলগেট এলাকার সাঈদ মিয়ার হোটেলে মেছিয়ারের চাকরি নেয়। গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ