মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোট গ্রহণ চলছে৷ ইমানুয়েল ম্যাখোঁই ক্ষমতায় থাকছেন, নাকি চরম দক্ষিণপন্থি শিবিরের মারিন ল্য পেন হচ্ছেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জানা যাবে আজই৷ ভোট চলবে স্থানীয় সময় রাত ৮টা পর্যন্ত৷ তার পর থেকেই বুথফেরত জরিপ আসতে শুরু করবে।
সবশেষ জরিপ বলছে, ম্যাখোঁ ৫৩ থেকে ৫৬ শতাংশ ভোট পাবেন। অন্যদিকে, ল্য পেন ৪৪ থেকে ৪৭ শতাংশ ভোট পেতে পারেন৷ অথচ ২০১৭ সালে ম্যাখোঁ ৬৬ শতাংশ এবং ল্য পেন মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন৷ সমীক্ষায় ম্যাখোঁ এগিয়ে থাকলেও অল্প ব্যবধানের কারণে অনিশ্চয়তা থেকে যাচ্ছে৷
১২ জন প্রার্থী প্রথম দফা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন৷ ওই দফায় ম্যাখোঁ পেয়েছিলেন ২৭.৮৫ শতাংশ ভোট, ল্য পেন পেয়েছিলেন ২৩.১৫ শতাংশ ভোট৷ বামপন্থি জঁ লুক মেলাশঁ পেয়েছিলেন ২১.৯৫ শতাংশ ভোট৷ ১০ এপ্রিল প্রথম দফা ভোটে কোনো প্রার্থী সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দ্বিতীয় দফা ভোট৷
২০০২ সালের পর, অর্থ্যাৎ জ্যাক শিরাকের পর ফ্রান্সের কোন প্রেসিডেন্ট টানা দুইবার ক্ষমতায় থাকেননি৷ ফ্রান্সে এবার মোট ভোটার ৪ কোটি ৮৭ লাখ৷ বামপন্থি নেতা জঁ লুক মেলাশঁ, যিনি প্রথম দফায় তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন, তিনি ম্যাখোঁকে সমর্থন দিতে রাজি হননি, তবে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন যাতে তারা ল্য পেনকে ভোট না দেন৷ ফলে তার যে লাখো কোটি সমর্থক আছে, তারা কাকে ভোট দিবে সেটা এই নির্বাচনে একটা বড় ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
সবশেষ গত বুধবার টেলিভিশন বিতর্কে মুখোমুখি হন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী চরম দক্ষিণপন্থি শিবিরের মারিন ল্য পেন৷ প্রায় আড়াই ঘণ্টার এই বিতর্কে দুই প্রার্থী ইউরোপের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন৷ বিতর্কে মুসলিম নারীদের হিজাব নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা জানান পেন৷ ম্যাখোঁ এর বিরোধিতা করেন৷ যদিও পেনের টিম নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে জানিয়েছে, এ বিষয়টি তাদের কাছে মুখ্য না৷
ইউরোপপন্থি বলে পরিচিত ম্যাখোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আরও শক্তিশালী করে তুলে জোরালো ঐক্যের মাধ্যমে ফ্রান্সের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে চান৷ ল্য পেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইইউ-কে আরও দুর্বল করে জাতীয় স্তরে ফ্রান্সের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন৷ অভিবাসন ও আইনশৃঙ্খলার মতো ক্ষেত্রেও সরকারের ব্যর্থতার দাবি করেন তিনি৷ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কও আন্তর্জাতিক স্তরে দুশ্চিন্তার কারণ৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।