মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোথাও আগুন ধরে গেলে পড়িমড়ি সেখানে হাজির হন তারা। উদ্ধার করেন বিপন্ন মানুষকে। তাছাড়া বিধ্বংসী আগুন নেভানোর দায়িত্ব তো থাকেই। তাই বলে কোনও মহিলা পাবলিক টয়লেটে আটকে পড়বেন, আর তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যাবে, এমনটা ভাবেননি তারা! সেই অভিজ্ঞটাই এবার হল যুক্তরাষ্ট্রের একদল দমকল কর্মীর।
পাবলিক টয়লেট বলা হলেও ঘটনা কিন্তু শহরের মধ্যে ঘটেনি। মহিলা কাণ্ড ঘটান পাহাড়ের মাথায়, এক গভীর জঙ্গলে। গত ১৯ এপ্রিলে ওয়াশিংটনের মাউন্ট ওয়াকার পাহাড়ে যান তিনি। সঙ্গে কেউ ছিল না। এরপর প্রকৃতির ডাকে জঙ্গলের ভেতরের একটি পাবলিক টয়লেটে ঢোকেন। আজকের পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের কুঅভ্যাস- টয়লেটেও সঙ্গে মোবাইল ফোন রাখা, এবং তাতে খুটখাট চালিয়ে যাওয়া, এই মহিলারও সেই অভ্যাস রয়েছে। এবং আচমকা মোবাইলটি তার হাত থেকে খসে পড়ে, ঢুকে যায় প্যানের ভেতরে। এবার তা উদ্ধার করতে গিয়েই হয় বিপত্তি।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়-জঙ্গলের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকে বিশেষ ধরনের অ্যাসেম্বলড পাবলিক টয়লেট। তা এমন ভাবে তৈরি, যাতে করে প্রাকৃতিক উপায়ে বর্জ্য নিষ্কাশন সম্ভব হয়। তার জন্য গভীর গর্ত করা হয় প্যানের নীচে। প্যানটিও হয় অ্যাসেম্বলড। প্রয়োজনে সেটিকে খোলা যায়। মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ওই ম্যানুয়ালি অ্যাসেম্বলড প্যানটিকে খুলে ফেলেন মহিলা। এরপরই ভয়ংকর কাণ্ড করে বসেন, ঘেন্নার কাণ্ডও বটে! তিনি নেমে পড়েন বর্জ্য যেখানে পড়ে সেই ট্যাংকে।
এর ফলে হারানো ধন খুঁজে পান বটে, কিন্তু কিছুতেই আর উপরে উঠে আসতে পারছিলেন না। এই সময় অবশ্য কাজে আসে মোবাইল ফোনটি। ২০ মিনিট আটকে থাকার পর দমকলে ফোন করেন মহিলা। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় দমকল কর্মীরা। তবে পাহাড়ের উপরের গভীর জঙ্গলে পৌঁছতে খানিক সময় লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমেই ওই মহিলার জন্য একটি বিশেষ ধরনের মুখোশ লাগানো জ্যাকেটের ব্যবস্থা করেন দমকল কর্মীরা। যাতে করে বর্জ্যের গ্যাসে মহিলা অসুস্থ হয়ে না পড়েন।
এরপর অনেক কায়দায় তাকে উপরে তুলে আনা হয়। দ্রুত তার পোশাক ও শরীরে লেগে থাকা বর্জ্য পরিস্কার করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। দমকল কর্মীরা বলছেন, আরেকটু দেরি হলেই সাধের মোবাইল বাঁচাতে গিয়ে চরম কিছু ঘটে যেতে পারত। এক দমকলকর্মী বলেন, “মহিলার ভাগ্য ভাল। এই জায়গায় আটকে পড়ায় ভয়ংকর কিছু ঘটে যেতে পারত। তাছাড়া এমন উদ্ধারের অভিজ্ঞতা ছিল না আমাদের।” সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।