গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সার্ভার ডাউনের কারণে টিকিট প্রিন্ট হচ্ছে না। সেই সঙ্গে রয়েছে এনআইডি জটিলতা। এমন ভোগান্তির মধ্যদিয়ে ঈদযাত্রার রেলের আগাম টিকিট বিক্রি চলছে। সার্ভার-এনআইডি জটিলতায় ঈদযাত্রায় ভোগান্তির মুখে পড়া যাত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে তুলোধুনো করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে।
অনেকেই সকাল ৫টা থেকে টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন। ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরও কাউন্টারের সামনে গিয়ে সার্ভার ডাউন থাকায় টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শুধু যে সার্ভার জটিলতা, তা কিন্তু নয়। এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সঙ্গে না থাকায় অনেক যাত্রীকে ফিরে যেতে হয়েছে খালি হাতেই। অথচ ভোর থেকে তারা টিকিটের আশায় লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। ফেসবুকে বহু মানুষ এনিয়ে ক্ষোভ জানান।
নিজের ভোগান্তির কথা তুলে ধরে একজন লিখেছেন, ‘এক ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু এনআইডি কার্ডের ফটোকপি না থাকায় ওনারা টিকিট দিচ্ছেন না। আমার কাছে এনআইডি কার্ডের মূল কপি রয়েছে। কিন্তু মূল কপি দিয়ে তারা টিকিট দিচ্ছেন না।
এবার প্রথমবারের মতো এনআইডি বা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ইনপুট করে কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। তাই বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের টিকিট পেতে একটু বিলম্ব হচ্ছে বলে স্বীকার করেন কমলাপুর রেলস্টেশন ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার।
ক্ষোভ জানিয়ে সাইফ লিখেছেন, ‘‘ছোট কাল থেকে যখন টিভির সমানে বসতে শুরু করছি তখন থেকে দেখে আসছি ঈদ আসলেই টিকিটের জন্য মানুষ রাতের ঘুম হারাম করে লাইনে দাড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে ছুটে কিন্তু কেন এই অবস্থা? এই অবস্থা থেকে কি কখনই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব না? আমরা সবাই দাবি করি দেশ ডিজিটাল হয়েছে তাহলে এই টিকিটের ব্যাপারটা কেন অ্যানালগ এই বিষয়টা কি উপর মহলের চোখে পড়ে না?’’
সোহেল রানা লিখেছেন, ‘‘স্ট্যান্ডিং টিকিট চালু করা হোক। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ দেশে শুধু আসন টিকিট দিয়ে চালানো কঠিন।’
মাসুদ রানা ফারুক লিখেছেন, ‘‘সহজ আরো জটিল করে দিয়েছে, সহজকে দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়া দরকার।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।