পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুনিয়াবী ব্যস্ততা পরিহার করে আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন হওয়ার নাম ই’তিকাফ। ই’তিকাফ আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক জুড়ে দেয়। এতে আল্লাহর প্রতি মহববত বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা‘আলা তার বান্দার গোনাহ মাফ করিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ কিছু সুযোগ দিয়েছেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ’ল এ মাসের শেষ দশকের বরকতময় রজনী ‘লায়লাতুল ক্বদর’ যা হাযার মাস অপেক্ষা উত্তম। সেই রজনী পাবার জন্য ই‘তিকাফ এক বিশেষ ব্যবস্থা।
ই‘তিকাফের পরিচয় : ই‘তিকাফ অর্থ : নিজেকে কোনো স্থানে আবদ্ধ রাখা। শারঈ পরিভাষায় আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে ইবাদত ও তেলাওয়াতের মধ্যে আবদ্ধ রাখাকে ই‘তিকাফ বলা হয়। আর যে ব্যক্তি এভাবে আবদ্ধ থেকে মসজিদে ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকে তাকে বলা হয় মু‘তাকিফ বা আকিফ।
ই‘তিকাফের শারঈ বিধান : ই‘তিকাফ শরী‘আত নির্দেশিত একটি ইবাদত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর আমরা ইবরাহীম ও ইসমাঈলের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছিলাম এই মর্মে যে, তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারীদের জন্য, এখানে অবস্থানকারীদের জন্য এবং রুক‚কারী ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো’ (বাক্বারাহ : ২/১২৫)। উল্লেখিত আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, ই‘তিকাফের বিধান শরী‘আতসিদ্ধ ও প্রাচীন। বিধায় আল্লাহ তা‘আলা ইবরাহীম (আ.) ও ইসমাঈল (আ.)-কে ই‘তিকাফকারীদের জন্য আল্লাহর ঘরকে পাক-পবিত্র রাখতে বলেন।
নবী করীম (স.) প্রতি বছর দশ দিন ই‘তিকাফ করেন। এমনকি যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন, সে বছর তিনি বিশ দিন ই‘তিকাফ করেন। আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাস‚ল (ছাঃ) প্রতি রামাযান মাসে দশ দিন ই‘তিকাফ করতেন। যে বছর তিনি ইন্তেকাল করেন সে বছর বিশ দিন ই‘তিকাফ করেন’। বুখারী হা : ২০৪৪, সহীহ ইবনু খুযাইমা হা : ২২২১।
ই‘তিকাফকারীর মসজিদে প্রবেশ ও বের হওয়া : ই‘তিকাফস্থলে সূর্যাস্তের পূর্বে প্রবেশ করবে এবং ঈদের আগের দিন বাদ মাগরিব বের হবে। রসূল (সা.) রামাযানের শেষ দশকে ই‘তিকাফ করতেন। [১২] আর শেষ দশক বলতে শেষ দশ রাত্রিকে বুঝানো হয় (সূরা ফজর : ২)। আর ২০ তারিখ সূর্যাস্তের মাধ্যমে ২১ তারিখ শুরু হয় এবং ১ শাওয়ালের চন্দ্রোদয়ের মাধ্যমে শেষ হয়। কোনো কোনো বিদ্বান আয়েশার (রা.) রাসূল (সা.) ই‘তিকাফের ইচ্ছা করলে ফজরের সালাত আদায় করার পর তার ই‘তিকাফস্থলে প্রবেশ করতেন (আবুদাঊদ : ২৪৬৪, ইবনু মাজাহ : ১৭৭১) মর্মে বর্ণিত হাদীসটি থেকে ফজরের পর ই‘তিকাফ শুরুর ব্যাপারে মত প্রকাশ করলেও তার জবাবে ওলামায়ে কেরাম বলেন, রসূল (সা.) আগের দিন সূর্যাস্তের সময় মসজিদে প্রবেশ করে ফজর পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতেন এবং এরপর স্বীয় ই‘তিকাফস্থলে একাকী হ’তেন। (নববী, শরহ মুসলিম : ৮/৬৮, ফিক্হুস সুন্নাহ : ২/৪৩৭) (চলবে-)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।