নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কার্যক্রমই প্রায় শেষ। বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। নির্বাচনকে সামনে রেখে সর্বশেষ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বাধীন একটি মাত্র প্যানেল তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ আর মনোনয়ন তুলে নেননি। তাই নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন বক্সিং সংশ্লিষ্টরা। ঠিক এমন সময়েই বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট ডিভিশনের এক রায়ে স্থগিত হয়ে যায় বক্সিংয়ের নির্বাচন। বিচারপতি জাফর আহমেদ এবং কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন আদালত। ফলে ২৬ এপ্রিল না হয়ে একমাস পিছিয়ে গেল বক্সিং ফেডারেশনের নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা নিয়ম অনুযায়ী হয়নি এবং জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশন নির্বাচনী নীতি-২০১৩ সালের ৬ ধারা ভঙ্গ হয়েছে বলে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন বক্সিং ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস খান। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত এক মাসের জন্য নির্বাচন স্থগিতের এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশ এখনো এনএসসিতে পৌঁছেনি। তবে আদেশ পেলে এনএসসির নির্বাচন কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে বলে বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে।
আদালতের স্থগিতাদেশ সম্পর্কে এমএ কুদ্দুস খান বলেন,‘বক্সিংয়ের নির্বাচনকে সামনে রেখে সব কাজ স্বচ্ছভাবে করা হবে বলেই আমার ধারণা ছিল। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তাই হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে আমার। আশা করছি সুষ্ঠ নির্বাচন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা আদালতকে সহায়তা করবেন।’
উল্লেখ্য বক্সিং ফেডারশেনের নির্বাচনে ২৪ পদের বিপরীতে বিক্রি হওয়া ৩২টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে সবগুলোই ছিল তুহিন প্যানেলের। যার মধ্যে গত ১৭ এপ্রিল ২৪টি মনোনয়নপত্র জমা দেয় তারা। এর বাইরে আর কোনো মনোনয়নপত্র জমা না পড়ায় এবং কাল প্রত্যাহার না হওয়ায় এনএসসি নির্দিষ্ট সময়ের পর তুহিন প্যানেলকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু এখন আর তা হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।