নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফুটবল এমনই। বর্তমান সময়ের সাফল্য-ব্যর্থতার দিকেই সবার চোখ পড়ে বেশি। না হয় কিছুদিন আগেও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকা বার্সেলোনাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইবে কেন? কারণ একটাই, কিছুদিন আগেও উড়তে থাকা বার্সেলোনা এই সপ্তাহে মাটিতে নেমে এসেছে। টানা দুই ম্যাচ হেরেছে। কয়েকদিন আগে ইউরোপা লিগে ঘরের মাঠে জার্মান ক্লাব আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের কাছে হারা দলটা গতপরশ রাতে রেলিগেশন অঞ্চলের কাছাকাছি থাকা কাদিজের বিপক্ষে হেরেছে ১-০ গোলের ব্যবধানে। এই পরাজয়ের মাধ্যমে অনাকাক্সিক্ষত এক রেকর্ডেও নাম লেখা হয়ে গেছে তাদের। ২০০৩ সালের পর এই প্রথম সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে টানা দুই ম্যাচ হারল কাতালান ক্লাবটি।
২০০৩ সালের এপ্রিলে লা লিগার ম্যাচে দিপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে ৪-২ গোলের হারার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ২-১ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। অর্থাৎ গত ১৯ বছরে যে রেকর্ডটা হয়নি, সেটাই হয়ে গিয়েছে গত রাতে। তবে শক্তির বিচারে সে সময়ের দেপোর্তিভো অবশ্যই এখনকার কাদিজের চেয়ে ঢের এগিয়ে। আর জুভেন্টাসের মতো ঐতিহ্যবাহী দল তো অবশ্যই আইনট্রাখটের চেয়ে বরাবরই শক্তিশালী। দলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ১৯ বছর আগের ওই গøানির চেয়ে এই দুই হার বার্সেলোনাকে কষ্ট দিচ্ছে বেশি। কয়েক মাস আগেই বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া দলটার ঘরের ছেলে জাভি হার্নান্দেজ আর যাই হোক, এই রেকর্ডে অন্তত নাম লেখাতে চাননি!
দলের মূল দুই সেন্টারব্যাক জেরার্ড পিকে ও রোনালদ আরাউহো খেলেননি এই ম্যাচে। মাঠে নামানো হয়েছিল এরিক গার্সিয়া আর ক্লেমঁ লংলেকে। গত দুই ম্যাচে যাদের ‘কল্যাণে’ তিন পেনাল্টি হজম করতে হয়েছিল বার্সেলোনাকে। গার্সিয়া-লংলের একাদশে থাকার কারণেই কি না, বার্সেলোনার জন্য রাতটা বিশেষ সুবিধার হবে না, এমনটাই মনে হচ্ছিল। নব্বই মিনিট শেষে সমর্থকদের ওই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ৪৮ মিনিটে সাবেক আর্সেনাল স্ট্রাইকার লুকাস পেরেজের গোলটাই যথেষ্ট ছিল বার্সেলোনার হাত থেকে তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য।
আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার জন্য হাতে থাকা প্রত্যেকটা ম্যাচেই ইতিবাচক ফলাফল আনতে হবে। সে কারণেই কি না, বাকি থাকা প্রত্যেকটা ম্যাচকে বার্সেলোনার কোচ জাভি ফাইনাল হিসেবেই মনে করছেন। কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচটাও তাই বার্সেলোনার জন্য এক রকম ফাইনালই ছিল। সে ফাইনাল ম্যাচে দলের হার পোড়াচ্ছে আল সাদের সাবেক এই কোচকে, ‘আমরা একটা ফাইনাল হেরেছি। তবে আমরা আমাদের হাতে আরও সাতটা ম্যাচ আছে। আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমাদের জায়গা করে নিতেই হবে।’
হারের পেছনে নিজেদের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন জাভি, ‘কাদিজ রক্ষণাত্মক দিক দিয়ে বেশ দুর্দান্ত এক ম্যাচ খেলেছে। তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলাম কিন্তু শেষমেশ গোল করতে পারিনি। আমাদের কি ভুল হচ্ছে, সেটা বের করতে হবে। আত্মসমালোচনা করতে হবে। আমাদের ওপর থেকে যত দ্রæত সম্ভব এই নেতিবাচক প্রভাবটা সরাতে হবে। প্রত্যেওটা ম্যাচই এখন ফাইনাল। আর এই ম্যাচটা আমরা ফাইনালের মত খেলিনি। জেতার জন্য আমাদের আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।’ সেটা তো করতেই হবে। নইলে যে এ বছরের মতো আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও জায়গা পাওয়া হবে না বার্সেলোনার!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।