Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

মহামারীর বিপর্যয় কাটিয়ে আগেভাগে পুনরুদ্ধার হয় চীনা অর্থনীতি। ২০২০ সালের মাঝামাঝিতেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। তবে সে ধারা অব্যাহত থাকেনি। গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ধীর হয়ে আসে দেশটির প্রবৃদ্ধির গতি। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও সেই শ্লথগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। কভিডের সংক্রমণ মোকাবেলায় আরোপ করা লকডাউনে দেশটির অর্থনৈতিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর এপি। সরকারি তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-মার্চে চীনের অর্থনীতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। সংক্রমণ মোকাবেলায় প্রধান শহরগুলোয় আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে এ সময়ে দেশটির বাণিজ্য ও উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। এর আগে ঋণে জর্জরিত দেশটির রিয়েল স্টেট খাতে অস্থিরতার কারণে গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির অর্থনীতি ৪ শতাংশ প্রসারিত হয়েছিল। তবে অন্যান্য প্রধান অর্থনীতি আগের প্রান্তিকের তুলনায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব করে। এ হিসাবে বছরের প্রথম তিন মাসে আগের প্রান্তিকের তুলনায় চীনা অর্থনীতি ১ দশমিক ৩ বেড়েছে। যেখানে গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এ হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ডাচ আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান আইএনজি গ্রæপের বিশ্লেষক আইরিস প্যাং বলেন, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আরো বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সময়ে চলমান বিধিনিষেধের প্রভাব আরো বেশি স্পষ্ট হবে। কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের বড় একটি অংশ লকডাউনের মতো বিধিনিষেধের মধ্যে। ফলে দুর্বল হয়েছে অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা। বাধাগ্রস্ত হয়েছে পণ্যের আগমন। আমদানি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি রফতানি বাড়ার গতিও ধীর হয়েছে। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধীরগতি চীনের ব্যবসায়িক অংশীদারদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কারণ এ সময়ে চাহিদা কমায় দেশটিতে জ্বালানি তেল, ইস্পাত, ভোগ্যপণ্য, খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের আমদানি কমে গিয়েছে। আড়াই কোটি লোকের ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সাংহাই ও অন্যান্য প্রধান শহরে লকডাউন আরোপ শিল্প পণ্যের প্রবাহ ব্যাহত করেছে। বৈশ্বিক গাড়ির নির্মাতা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান উৎপাদন হ্রাস কিংবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের টমি উ একটি প্রতিবেদনে বলেছেন, যদি কভিডজনিত বিধিনিষেধ আর দীর্ঘস্থায়ী না হয়, তবে এপ্রিল ও মে মাসের উৎপাদন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। প্রথম প্রান্তিকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশের নিচে ছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, বড় ধরনের সরকারি প্রণোদনা ছাড়া প্রবৃদ্ধির এ লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ সময়ে খুচরা ব্যয়, শিল্পোৎপাদন কার্যক্রম, রিয়েল এস্টেট ও অন্যান্য স্থায়ী সম্পদে বিনিয়োগ বেড়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই এবং অর্থনীতির কার্যক্রম সাধারণত স্থিতিশীল ছিল। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে বেইজিং সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এপি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ