গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী, মলম-পার্টি, কিশোর গ্যাং এবং অজ্ঞান-পার্টির ৮২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সম্প্রতি ‘ঈদ কেন্দ্রিক বেপরোয়া ছিনতাইকারীরা’ এমন তথ্য-সম্বলিত গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে গত সোমবার রাতে র্যাব-৩ এর কয়েকটি দল একযোগে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাইকারী, অজ্ঞান-পার্টি, মলম-পার্টি এবং কিশোর গ্যাং চক্রের ওই ৮২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬৮টি মোবাইলফোন, ৩৫ পিস প্যাথেড্রিন ইনজেকশন, ২০টি সুইচ গিয়ার চাকু, ৭টি চাকু, ১২টি ক্ষুর, ১টি এন্টিকাটার, ১৭টি বিষাক্ত মলম, ৫টি কাঁচি ও নগদ ৩৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, অভিযানে মুগদা এলাকার মলম-পার্টি চক্রের মূলহোতা মো. লাল মিয়াসহ তার ৫ জন সহযোগীকে, ডেমরা এলাকার অজ্ঞান-পার্টি চক্রের মূলহোতা সোহেলসহ তার ৪ সহযোগী, ডেমরা এলাকার কিশোর গ্যাং চক্রের মূলহোতা হিমন হকসহ তার ২ সহযোগী, হাতিরঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা খালিদ হাসানসহ তার ৩ সহযোগী, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা ইউনুছ ওরফে নূর নবীসহ তার ৬ সহযোগী, যাত্রাবাড়ী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা শামসুল হকসহ তার ১৩ সহযোগী, ওয়ারী এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা সাগরসহ তার ৯ সহযোগী, খিলগাঁও এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা খোকনসহ তার ৩ সহযোগী, সবুজবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা দ্বীন ইসলামসহ তার ২ সহযোগী, পল্টন এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রাসেলসহ তার ৯ সহযোগী, মতিঝিল এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা অমৃত চন্দ্র বর্মনসহ তার ৫ সহযোগী, শাহবাগ এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা দেলোয়ার হোসেনসহ তার ২ সহযোগী, শাহজাহানপুর এলাকার ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা রাব্বিসহ তার ৬ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব-৩ অধিনায়ক বলেন, পবিত্র মাহে রমজান এবং ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীরা রাজধানীর বিভিন্ন অলি গলিতে ওত পেতে থাকে। সুযোগ পাওয়া মাত্রই তারা পথচারী, রিকশা আরোহী, যানজটে থাকা সিএনজি, অটোরিকশার যাত্রীদের ধারালো অস্ত্র প্রদর্শন করে সর্বস্ব লুটে নেয়। ইফতারের সময় এবং সেহেরির পর তুলনামূলক জনশূন্য রাস্তায় ছিনতাইকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের ছিনতাই কাজে বাধা দিলে তারা নিরীহ পথচারীদের প্রাণঘাতী আঘাত করতে দ্বিধা করে না। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বেশি পরিলক্ষিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।