পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বঙ্গবন্ধুর খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসূচক শব্দ উচ্চারণ করার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যদিও শ্রদ্ধা জ্ঞপান করার কারণে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রহমত উল্লাহ।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ‘শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসূচক’ কোনো শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে থাকলে সেটিকে ‘নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে মন্তব্য করেন ঢাবির এই শিক্ষক নেতা।
গত রোববার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ঢাবির টিএসসি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাক আহমেদকে ‘শ্রদ্ধা জানিয়েছেন’ এমন বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রফেসর রহমত উল্লাহ।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ব্যাখ্যা প্রদান করেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আমি মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সরকারের কর্মপরিকল্পনা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করি।
প্রফেসর রহমত উল্লাহ বলেন, আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সঙ্গে বিশ্বঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি।
দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বক্তব্য দেওয়ার সময় আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সবার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।
এদিকে প্রফেসর রহমত উল্লাহ’র দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনার পর বেলা ১১টায় তাঁর বক্তব্যকে ধৃষ্টতামূলক উল্লেখপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর প্রতিবাদ স্মারকলিপি প্রদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন ইনকিলাবকে বলেন, ওনার দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনাকে আমরা সাধুবাদ জানাই কিন্তু একই সাথে ওনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার। সেটা সকল কার্যক্রম থেকো অব্যাহতিও হতে পারে আবার অন্য কিছুও হতে পারে। সেটা প্রশাসন নির্ধারণ করবে। এছাড়াও একই দাবিতে দিনব্যাপী ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।