মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী-নির্বাচিত হামজা শাহবাজের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় অস্বীকৃতির দায়ে গভর্নর ওমর চিমাকে ফেডারেল সরকার বরখাস্ত করেছে। তার কাছে শাহবাজের নিয়োগ যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় তিনি হামজা শাহবাজকে শপথ পড়াতে অস্বীকৃতি জানান।
শনিবার পিএমএল-এন নেতা হামজা প্রাদেশিক বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১৯৭ ভোট পেয়ে পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী পিএমএল-কিউ প্রার্থী, পারভেজ এলাহি এ নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের নির্দেশে পাঞ্জাবের গভর্নর চিমাকে তার কার্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছে গতকাল। তিনি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান স্থগিত করে পাঞ্জাব বিধানসভার স্পিকার পারভেজ এলাহির কাছে নির্বাচনের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছিলেন।
শনিবারের বিধানসভা অধিবেশনের অবস্থা সম্পর্কে চিমা এলাহি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উসমান বাজদার এবং সাংবিধানিক দলের সাথে পরামর্শ করেছিলেন যেখানে বিরোধী এবং ট্রেজারি বেঞ্চের আইন প্রণেতাদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের পরে হামজাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
গভর্নর প্রেসিডেন্টের কাছে সাংবিধানিক সুপারিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা তার আইনি দল পর্যালোচনা করবে।
আগের দিন মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, চিমা শনিবার প্রাদেশিক পরিষদে ঘটে যাওয়া সহিংসতার নিন্দা করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, এ ধরনের ঘটনা খুবই ভুল নজির স্থাপন করেছে। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্বাচনে লড়েছি। এটি একটি খুব ভুল নজির স্থাপন করা হচ্ছে’।
তিনি অভিযোগ করেছেন যে সিএম-নির্বাচিত হামজা তার বিরোধী পিটিআই এবং পিএমএল-কিউ-এর বিরুদ্ধে ভোটের দিনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করেছিলেন। তার যদি পর্যাপ্ত ভোট থাকে তাহলে বিধানসভা হলে অশান্তি সৃষ্টি করে ভোট প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করা তার উচিত হয়নি।
তিনি এ নির্বাচনের আইনি মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন এবং জিজ্ঞাসা করেন যে, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্বাচন লাহোর হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে পরিচালিত হয়েছিল কিনা। তিনি হাইলাইট করেছেন যে, তিনি শনিবার অধিবেশন চলাকালে যে হিংসা ও সহিংসতা সম্পর্কিত পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলি সেক্রেটারি থেকে একটি প্রতিবেদন তলব করেছেন।
ডেপুটি স্পিকার রোস্ট্রাম বা গ্যালারি থেকে সমাবেশের কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলেন কিনা, পারভেজ এলাহিকে সমাবেশ হলে নির্যাতন করা হয়েছিল কিনা এবং পুলিশ এসেম্বলি হলে প্রবেশ করেছে কিনা তাসহ চারটি প্রশ্ন স্পষ্ট করার নির্দেশ দেওয়ার সময় গভর্নর বিধানসভা সচিবালয়ের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। তিনি বিধানসভার সেক্রেটারিকে বিধানসভা অধিবেশনের ফুটেজ সরবরাহ করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, ডেপুটি স্পিকার দোস্ত মুহাম্মদ মাজারী ‘দলীয়ভাবে’ কাজ করেছেন। তার কার্যালয় পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট-জেনারেলের পাশাপাশি ভোটের সাথে সম্পর্কিত স্পিকারের কাছে চিঠি লিখবে। তিনি বলেন, সাংবিধানিক অফিসে বসে তিনি কোনো অসাংবিধানিক কাজকে সমর্থন করতে পারেন না। ‘আমি এই [শপথ গ্রহণের কার্যক্রম] শুরু করব যখন আমি সন্তুষ্ট হব যে, এ নির্বাচন সংবিধান এবং লাহোর হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে পরিচালিত হয়েছিল’।
পাঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল আহমেদ আওয়াইস ইতোমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং এটিকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন।
এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, হাউসের স্পিকার গভর্নরের অনুপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথ পড়াতে পারেন এবং যদি স্পিকারও শপথ নিতে অস্বীকার করেন তবে প্রেসিডেন্ট অন্য কোনো অনুমোদিত কর্মকর্তাকে নিয়োগ করতে পারেন।
সূত্র জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের জন্য লাহোর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে মনোনীত করতে পারেন। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।