পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হেলাল মিয়াঁ একজন কঠিন রোজাদার। নিয়ম মেনে সঠিক সময়ে সাহারি করা এবং দ্রুত ইফতার করার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সচেতন। তিনি ব্যবসা করেন। তার কর্মচারীদের সাথে মা-বাবা তুলে পর্যন্ত গালিগালাজ করেন। তার কর্মচারীরা মাপে কম দেয়, খারাপ পণ্য ভাল পণ্যের সাথে মিশিয়ে গ্রাহককে ধরিয়ে দেয়। এসব তিনি জানেন। কিন্তু কর্মচারীদের কিছুই বলেন না। এক্ষেত্রে তার রোজা হবে কিনা। জবাব দেয়া যায়, তিনি রোজার সওয়াব পেয়ে যাবেন, কিন্তু অসৎ ব্যবসার জন্য গুনাহগার হবেন। এ উত্তরে কি আপনি সন্তুষ্ট?
ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে যদি আপনার যোগ থাকে আর আপনি এমন একটি উত্তর পান তাহলে সন্তুষ্ট হওয়ারই কথা। কিন্তু ইসলাম কী বলে? আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীসে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও তার ওপর আমল করা পরিত্যাগ করে না, তার খাদ্য এবং পানাহার ত্যাগে আল্লাহ্র কোনো প্রয়োজন নেই। (সহীহুল বুখারী) অন্যত্র বর্ণিত হয়েছে, বহু রোজাদার আছে যাদের ক্ষুধা ও পিপাসার্ত থাকা ছাড়া রোজায় কোনো উপকার হয় না।
মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হেলার মিয়াঁর মতো মানুষগুলোর জন্যই উল্লিখিত হাদীস দুটি উল্লেখ করেছেন। বর্তমান সমাজে তার মতো মানুষের অভাব নেই। রমজান আসার আগেই এবং রমজানের প্রারম্ভে নিত্যপণ্যের প্রাচুর্য থাকলেও দাম বাড়বে- এটাই যেন নিয়ম। নিয়মের ব্যত্যয় ঘটানো যাবে না। ব্যবসায়ীদের বড় বড় সংগঠন আছে যেগুলো তাদের কোনো সদস্য অপরাধ করে ধরা পড়লেও তড়িৎ তার পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু কোনো অন্যায়-অপকর্ম রুখতে তাদের কখনও কোনো তৎপরতা চালাতে দেখা যায় না। বড়ই পরিতাপের বিষয়!
এরূপ রোজাদারদের জন্যই মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলা ও তার ওপর আমল করা পরিত্যাগ করে না, তার খাদ্য এবং পানাহার ত্যাগে আল্লাহ্র কোনো প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ তারা পানাহার ত্যাগের ফলে সে ক্ষুধায়-পিপাসায় কষ্ট করে, কিন্তু আল্লাহর তার রোজার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ, হারাম কামাই করে, হারাম খেয়ে-পরে, অকথ্য ভাষা ব্যবহার ও অন্যায় কাজ করে রোজা পালন করা দুটি সাংঘর্ষিক বিষয়। এরকম রোজাদারদের জন্যই আল্লাহর নবী বলেন, অনেক রোজাদার আছে যাদের সিয়াম পালনে ক্ষুধা-পিপাসায় থাকা ছাড়া আর কোনো লাভ নেই। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের এই শ্রেণির রোজাদার থেকে বেঁচে থাকার এবং আমাদের তাদের শামিল হওয়া থেকে বাঁচান, আমীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।