মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের আরও কাছে এগিয়ে আসছে চীন! আগেই প্যাংগং সো হ্রদের উপর সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করেছে তারা। এবার ভারতীয় ভূখণ্ডের একেবারে নাগালের মধ্যেই একটি নয়, দুটি নয়, একসঙ্গে তিন-তিনটি মোবাইল টাওয়াড় বসিয়েছে বেইজিং! এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লে জেলার চুশুল গ্রামের কাউন্সিলর কনচোক স্ট্যানজিন।
এই ঘটনা ভারত সরকার এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আনতে টুইটারকে হাতিয়ার করেছেন কনচোক। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে মোবাইল টাওয়ারের ছবি-সহ সমস্ত বিষয়টি বিস্তারিতভাবে লিখেছেন তিনি। কনচোকের তোলা সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লাদাখ অঞ্চলের মধ্যেই ওই তিনটি চীনা মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে এই এলাকা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু, বসত এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এখানে ৪জি নেটওয়ার্ক নেই। এই অবস্থায় চীনা টাওয়ারের উপস্থিতি আদতে কোনওভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে বসবাসকারী মোবাইল ব্যবহারকারীদের গোপনে বিশেষ পরিষেবা পাইয়ে দেওয়ার ফাঁদ কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে।
ঠিক এখানেই চিন্তা প্রকাশ করেছেন কনচোক। তিনি তার টুইটে লিখেছেন, "প্যাংগত সো হ্রদে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করার পর ভারতীয় ভখণ্ডের কাছেই তিনটি মোবাইল টাওয়ার তৈরি করেছে চীন। চীনের উষ্ণ প্রস্রবনের কাছেই এই মোবাইল টাওয়ারগুলি খাড়া করা হয়েছে। এটা কি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয় নয়? কারণ, আমাদের এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবা এসে পৌঁছয়নি। আমার এলাকার মধ্যেই ১১টি গ্রামে এই সুবিধা নেই।"
কনচোকের আশঙ্কা, এই মোবাইল টাওয়ার আসলে চীনের নতুন ফাঁদ। তারা এই ফাঁদ ব্যবহার করেই ভারতের অন্দরে ঢুকতে চায়। ভারতের উপর নজরদারি করতে চায়! কাউন্সিলরের বক্তব্য, প্রথমে শুধুমাত্র ভারতের ভূমি দখল করার মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রেখেছিল বেইজিং। কিন্তু, এখন এই অঞ্চলের পরিকাঠামোগত ফাঁকের সুযোগ নিয়ে প্রযুক্তিগত অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তারা।
এই প্রসঙ্গে কনচোক বলেন, "আমি আমার লোকেদের জন্যই এই বিষয় নিয়ে সরব হচ্ছি। ইদানীংকালে এই এলাকায় চীনের তৎপরতা মারাত্মক বেড়েছে। এই অঞ্চলে প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত করা হচ্ছে। আগেই এখানে সেতু তৈরি করা হয়েছিল। এখন উষ্ণ প্রস্রবনের কাছে তিনটি মোবাইল টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। এই টাওয়ারগুলি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের ভূখণ্ড এবং যোগাযোগব্যবস্থার উপর নজরদারি করতেই হয়তো এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে।"
বড় কোনও অঘটন ঘটার আগেই তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছেন কনচোক। তিনি বলেছেন, "আমি সরকারকে বলতে চাই, চীনকে আটকানোর জন্য আমাদেরও পালটা আক্রমণের পথ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। চীন এই এলাকায় বসত গড়ে তোলার আগেই আমাদের উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করে ফেলতে হবে। তারপর তা তুলে দিতে হবে সেনাবাহিনীর হাতে।" সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।