গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর উত্তরা আজমপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় পহেলা বৈশাখের দিন ভোরে কাভার্ডভ্যানের চাপায় তিন মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের ঘটনায় অভিযুক্ত কাভার্ড ভ্যান চালককে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তার নাম মো. বশিরকে (২৬)। সে ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর গ্রামের মোঃ নাছির উদ্দিনের পুএ। এসময় তার নিকট একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি মোবাইল ফোন, নগদ ১৭৫০ টাকা এবং একটি ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
আজ র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার এবং সহকারী পরিচালক (অপস্ অফিসার) নোমান আহমদ জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ৪ টার দিকে র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা র্যাব-১ ও র্যাব-৮ এর একটি যৌথ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোলা জেলার লালমোহন থানার বালচুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী মোঃ বশির (২৫)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে। নোমান আহমদ জানান, মো. বশিরের ব্যবহৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স হালকা যানের (মোটরসাইকেল বা প্রাইভেটকার) জন্য প্রযোজ্য। তার উপর ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২১ সালে। ভারী যানবাহনের লাইসেন্স ছাড়াই আসামি মো. বশির বিগত ৪ বছর ধরে কাভার্ডভ্যানটি চালিয়ে আসছিল।
প্রাথমিক জিজ্ঞাবাসাদের উদ্বতি দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা জানান, কাভার্ডভ্যানটির মালিক মোঃ জাকির, জেলা-ভোলা, ঢাকার তেজগাঁও ট্রাকস্ট্যান্ডের একজন দালাল। সে বিভিন্ন গাড়ীর কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স এর কাজ করিয়ে দেওয়ার জন্য পরিচিত দালাল। ঘটনার পর থেকে মোঃ জাকির পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও র্যাব সুএে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের দিন ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে এনামুল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মোটরবাইকে তার ফুফু হনুফা বেগম (৪৫) ও ছোট ভাই অনিক (১৮)কে নিয়ে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার রায়েরবাজার এলাকা থেকে উত্তরা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানার উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরস্থ রবীন্দ্র সরণি রোডের আমির কমপ্লেক্সের এর সামনে আসলে পেছন দিক থেকে ঢাকা মেট্রো-ঠ-১৮-৯৫৯৩ নম্বরের একটি কাভার্ড ভ্যান বেপরোয়া গতিতে এসে তাদের বহনকারী মোটরবাইকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় এবং কাভার্ডভ্যানের চাকায় পৃষ্ট হয়ে এনামুল হক ও তার ফুফু হনুফা ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর অনিককে (১৮) গুরুতর আহত হওয়ায় প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি (তদন্ত) মো, ইয়াছিন গাজী কাভার্ডভ্যান চালককে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাসসকে জানান, র্যাব সদস্যরা দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি চালক বশিরকে গ্রেফতার করে থানায় পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।বশির ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।