Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিরপুরেও মুমিনুলের হাহাকার

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০২ এএম

একদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পোর্ট এলিজাবেথ থেকে ঢাকা ফিরেছেন ২০ ঘন্টার ভ্রমণের পর। একদিন বিশ্রাম নিয়ে প্রাইম ব্যাংকের জার্সি গায়ে মুমিনুল হক নেমে গিয়েছিলেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে। প্রতিপক্ষ আবাহনী। সে দলেও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ছিলেন দুজন- লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়।
আবাহনীর ২৭১ রান রানের জবাবে প্রাইম ব্যাংক ম্যাচটা হেরেছে ২৮ রানে। প্রাইমের মুমিনুল ৩৪ বলে ১৫ রান করে মোসাদ্দেক হোসেনের বলে আউট হন। একে তো ম্যাচে ভালো করেননি, তার মাথায় হয়তো ছিল সাম্প্রতিক ফর্মের বিষয়টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টের চার ইনিংসেই যে বাজেভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তবে মুমিনুল ম্যাচে কী করলেন, তার চেয়েও বড় ব্যাপার তিনি ম্যাচের বাইরে যা করলেন!
এদিন আউট হয়েই তাই মুমিনুল চলে গেলেন একাডেমি মাঠের মাঝের উইকেটে, সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত তাইজুল ইসলাম। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে তারও খেলার কথা ছিল। কিন্তু একাদশে তার জায়গা হয়নি। দুজন মিলে প্রায় ঘন্টাখানেক সাদা বলে অনুশীলন করেন। দুজন নেট বোলারও ছিলেন। প্রাইম ব্যাংকের সহকারী কোচ আশিকুর রহমান নেটের পাশ থেকে দেখলেন মুমিনুলের ব্যাটিং। তাইজুলের বাঁহাতি স্পিনে মুমিনুলের ব্যাটিংয়ের ছবিটা দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার স্মৃতি মনে করিয়ে দিল যেন।
কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের বলে আউট হয়েছেন মুমিনুল। শুধু মুমিনুলের উইকেট নয়, ডারবান ও পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ দলকে ডুবিয়েছেন তিনি। তাইজুলের বাঁহাতি স্পিনে ব্যাফ ফুট ও ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্সিভ শট খেলতে দেখা গেছে। বাঁ হাতি স্পিনারের বলগুলোকে স্কয়ার লেগে ঠেলে খেলছিলেন। তবে অনুশীলনটা যেহেতু সাদা বলের, ওয়ানডে ম্যাচের আবহও ছিল মুমিনুলের অনুশীলনে। শেষ পর্যায়ে এসে স্পিনের বিপক্ষে ক্রিজ ছেড়ে ছক্কা মারার অনুশীলন করেন। মুমিনুলের মারা কিছু শট একাডেমি মাঠ পেরিয়ে মিডিয়া প্লাজায় এসে পড়ল।
মুমিনুলকে বোলিং করে নিজের সাদা বলের অনুশীলনটাও সেরেছেন তাইজুল। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে তাইজুলই ছিলেন বাংলাদেশের সেরা বোলার। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের শিকার ৩ উইকেট। আটসাঁট বোলিং, ফ্লাইট, গতির বৈচিত্র্য- সবই ছিল তাইজুলের বোলিংয়ে। পোর্ট এলিজাবেথের সেই বোলিংটাই যেন আজ সাদা বলে করলেন তিনি। তার কয়েকটি বল মুমিনুলের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠল। বার বারই যেন তার অনুশীলনে মহারাজের বাঁ হাতি ঘূর্ণিতে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত হওয়ার ছবিই ফিরে আসছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ