মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সিলেটে খেলতে না আসায় এএফসি কাপের প্রথম প্লে-অফে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে খেলেনি মালদ্বীপের ক্লাব ভ্যালেন্সিয়া। সূচি অনুযায়ী গত ১২ এপ্রিল সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আবাহনী-ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ ম্যাচ খেলতে ভ্যালেন্সিয়া অপরাগতা জানালে ওয়াকওভার পায় ঢাকা আবাহনী। ফলে দ্বিতীয় প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে তারা। আবাহনীর সামনে এবার দ্বিতীয় প্লে-অফ মিশন। যে ম্যাচে ঢাকার আকাশী-হলুদদের প্রতিপক্ষ কলকাতায় অন্যতম জায়ান্ট মোহানবাগান ক্লাব। মোহনবাগানকে হারাতে পারলেই আবাহনী পাবে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের টিকিট। যেখানে ‘ডি’ গ্রুপে জায়গা হবে তাদের। এই গ্রুপে আছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস, ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাব। ১৮ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত ভারতের কলকাতায় হবে গ্রুপ পর্বের খেলা। মূলত গ্রুপ পর্বে খেলার আশা নিয়েই দ্বিতীয় প্লে-অফে মোহনবাগানের মুখোমুখি হতে আজ কলকাতার উদ্দেশ্যের রওয়ানা হবেন নাবীব নেওয়াজ জীবনরা। আগামী মঙ্গলবার সল্টলেকের যুবভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে মোহনবাগান-আবাহনী ম্যাচটি।
গ্রুপ পর্বে উঠার লড়াইয়ের এ ম্যাচকে ঘিরে উš§াদনা বইছে দু’দলেই। প্রতিপক্ষ মোহনবাগান শক্তিশালী হলেও ভারতের ক্লাবগুলোর বিপক্ষে অতীত পারফরম্যান্সে আশাবাদী ঢাকা আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ মারিও লেমোস। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। শক্তির বিচারে এগিয়ে থাকলেও পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের ৩১ মে ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। আর এবারের এই ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের প্লে-অফ পর্ব। যারা জিতবে তারাই খেলবে এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপে। তাই আবাহনী কোচ মারিও লেমোসের সব ভাবনা মোহনবাগান ম্যাচ নিয়ে। গতকাল তিনি বলেন ‘আমি সবসময়ই বাস্তববাদী এবং আমার মনে হয় মোহনবাগানের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটি খুব কঠিন হবে। ওরা খুবই ভালো দল, কিন্তু আমিও বিশ^াস করি, সবসময় আমাদের জয়ের সুযোগ রয়েছে।’
মোহনবাগানের সঙ্গে লড়াইয়ের আগে আবাহনীর প্রেরণায় ২০১৯ সালের এএফসি কাপ। ওই আসরে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠার কীর্তি গড়েছিল তারা। মিনারভা পাঞ্জাব এবং চেন্নাইনের মতো দলকে পিছনে ফেলেছিল ঢাকার আকাশী-হলুদরা। তবে এবার ম্যাচটি মোহনবাগান খেলবে তাদের ঘরের মাঠে। স্বাগতিক দর্শক, চেনা মাঠ হওয়ায় সবকিছুই তাদের অনুকূলে। আর দলটির চার বিদেশি ছাড়াও স্থানীরা রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তবে আবাহনীর জন্য দুর্ভাবনা দলটির ব্রাজিলিয়ান তারকা ডরিয়েলটন। চোটে ভুগতে থাকা এই ফরোয়ার্ড মোহনবাগানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পাওয়া নিয়ে সংশয় আছে। শেষ পর্যন্ত ডরিয়েলটন খেলতে না পারলে বাকিদের নিয়ে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ লেমোস। তার কথায়,‘প্রতিটি বিভাগেই মোহনবাগান ভাল। এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। আমরাও কম নই। দল ভাল অবস্থায় আছে। আমি মনে করি পুরো দল উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারলে জয় পাওয়া সম্ভব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।