মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিডের বিপর্যস্ত অবস্থা কাটিয়ে আগেভাগে পুনরুদ্ধার হওয়া অন্যতম অর্থনীতি চীন। গত বছরের শুরুতে রেকর্ড বাণিজ্য প্রবৃদ্ধির দেখা পায় দেশটি। যদিও বছরের শেষ দিকে ধীর হয় আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য। দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে গত মাসে অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়েছে চীনের আমদানি। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদা নিম্নমুখী হওয়া এবং ইউক্রেন সংকটকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকরা। তবে আমদানি কমলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির রফতানিতে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। মার্চে চীনের রফতানি বেড়েছে ১৪.৭%। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চীনের বড় একটি অংশ লকডাউনের মতো বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে। ফলে বাধাগ্রস্ত হয়েছে পণ্যের আগমন। দুর্বল হয়েছে অভ্যন্তরীণ ভোক্তা চাহিদা। এ অবস্থায় আমদানি সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি রফতানি প্রবৃদ্ধির গতিও ধীর হয়েছে। বিশ্লেষকরা দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন। প্রকাশিত কাস্টমস ডাটা অনুসারে, মার্চে ২২ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে চীন। অর্থের হিসাবে আমদানির এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১ শতাংশ কম। ২০২০ সালের আগস্টের পর প্রথমবারের মতো আমদানি নিম্নমুখী হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসেও আমদানিতে প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা ৮ শতাংশ আমদানি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এদিকে গত মাসে ২৭ হাজার ৬০৮ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে দেশটি। রফতানির এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। রফতানি প্রবৃদ্ধির এ গতি বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ১৩ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও এ হার জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি সময়ে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়ে ধীর হয়েছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চীনের আমদানি ১১ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমেছে। যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে চীনা পণ্য রফতানি বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এ সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সামগ্রিক বাণিজ্য গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যদিও ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশ ও তাদের মিত্ররা রাশিয়ার বিস্তৃত খাতজুড়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য ব্যাপকভাবে কমে গেছে। অন্যদিকে বেইজিং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনাও করেছিল। কাস্টমস ডাটা অনুসারে, মার্চে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ১ হাজার ১৬৭ কোটি ডলারের বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে। এটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। সামগ্রিক এ বাণিজ্যের মধ্যে রফতানি ও আমদানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চীনের জন্য জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লা ও কৃষিপণ্যের প্রধান একটি উৎস রাশিয়া। চীনা আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান জংইউয়ান ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ওয়াং জুন বলেন, কভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে আমদানি কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ সময়ে রফতানিতে ধীরগতি সীমিত ছিল। তবে এপ্রিলে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জিরো কভিড নীতি ও ইউক্রেন সংকটের প্রভাব দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মহামারীর মধ্যেও চীনের শক্তিশালী বৈদেশিক বাণিজ্য চলতি বছর ধীর হতে চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে কভিডজনিত বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকা, উচ্চ জ্বালানির দাম এবং ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে বিশ্বজুড়ে পণ্য পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।