মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও থমকে নেই অস্ত্র রফতানি। এবার ভারতকে দ্বিতীয় এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পাঠানোর কাজ শুরু করল রাশিয়া। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার হুমকি উড়িয়ে রুশ তেল কেনার ‘উপহার’ স্বরূপ নয়াদিল্লিকে দ্রুত এই অত্যাধুনিক ও বিতর্কিত অস্ত্র পাঠাচ্ছে মস্কো।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে খবর, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকেই ভারতে এস-৪০০ পাঠানোর কাজ শুরু করেছে রাশিয়া। ইতিমধ্যে পাঞ্জাবে একটি মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে ভারতীয় ফৌজ। এবার এপ্রিল অর্থাৎ চলতি মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় এস-৪০০ সিস্টেম ভারত পৌঁছে যাবে। এবং ২০২৩ সালের মধ্যেই চুক্তি মোতাবেক এই অত্যাধুনিক পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতীয় সেনার হাতে চলে আসবে। ফলে চীন ও পাকিস্তানকে নজরে রেখে দেশের মিসাইল প্রতিরক্ষা আরও মজবুত করে তুলতে সক্ষম হবে সেনাবাহিনী বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সময়মতো এস-৪০০ সিস্টেম পাঠাতে পারবে কি না রাশিয়া, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তারপরই জানা যায় যে সমরাস্ত্রের উৎপাদন বাড়াচ্ছে ভারত। অ্যাটাক হেলিকপ্টার ও ট্যাঙ্ক ইঞ্জিনের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে। একইসঙ্গে, মিসাইল, নজরদারি বিমান-সহ বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর, দেশীয় অস্ত্র নির্মাতাদের সঙ্গে প্রায় ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। কিন্তু এবার সেই সংশয় দূর করল বন্ধু ‘মস্কো’।
উল্লেখ্য, ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য ২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০-কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বলে মনে করা হয়। প্রথম থেকেই এই চুক্তিকে ভাল চোখে দেখেনি আমেরিকা। ভারতের কাছে ওয়াশিংটনের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে এই ধরনের সিদ্ধান্ত না নেওয়াই উচিত। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছে নয়াদিল্লি। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।