Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের খোঁচা, পাল্টা জবাব ভারতের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ৭:১৯ পিএম

সোমবার ‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পর ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে খোঁচা দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। দু’দিন পরে তার পাল্টা জবাব দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুঝিয়ে দিলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিও আমেরিকাকে ছেড়ে কথা বলবে না।

আমেরিকা ছাড়ার আগে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা অন্যের মতামত শুনতেই পারি। কিন্তু, কেন তারা এমন মতামত দিচ্ছেন, সেটাও জানতে হবে। কোন স্বার্থ, কোন লবি বা কোন ভোটব্যাঙ্কের জন্য তারা এই সব বলছেন, জানাটা জরুরি। সুতরাং, যখনই কোনও আলোচনা হবে, আমি আপনাকে বলতে পারি যে খোলাখুলি আলোচনা করব। আর আমেরিকা-সহ অন্যান্য দেশগুলোর মানবাধিকার সম্পর্কে আমরাও খোঁজখবর রাখি। সাম্প্রতিক বেশ কিছু খবর আমাদের কাছেও আছে।” সেগুলো যে অনাবাসী ভারতীয়দের সম্পর্কিত সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

‘টু প্লাস টু’ বৈঠকের পরেই ব্লিঙ্কেন এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মানবাধিকারের বিষয়টি আলোচনার মধ্যেই ছিল না বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাংবাদিকদের জয়শঙ্কর জানান, ওই বৈঠকে কেবল রাজনৈতিক এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ছাড়াও ভারতের তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও উপস্থিত ছিলেন। অন্য দিকে সোমবার ভারত-আমেরিকা যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্লিঙ্কেনের পাশাপাশি হাজির ছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন।

সেখানে ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, “আমরা নিয়মিত এই প্রসঙ্গে মত বিনিময় করছি। পাশাপাশি ইদানিং ভারতে কিছু সরকারি, পুলিশ এবং জেল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগের উপরও আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।” ভারতের পক্ষে বিষয়টি আরও অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায় ঘরোয়া রাজনীতির কারণে। এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার প্রশ্ন তোলেন, কেন ব্লিঙ্কেনের মুখের উপর জবাব দিল না ভারত? তার কথায়, “দু’দেশের নেতার সামনে যে মন্তব্য করা হয়েছে তা অশোভন। ভারতীয় মন্ত্রীরা তাদের অসন্তোষ ব্যক্ত করতে পারতেন। সে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তারা তা করেননি।”

রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতি করতে পারেন, এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল মোদী সরকারের। আর সেই কারণেই ওয়াশিংটনকে এই নিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল। সূত্র: টাইমস নাউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ