মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধুলোর দাম ৫ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশী মুদ্রায় পরিমাণটা ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকারও বেশি! ঠিকই পড়ছেন। সম্প্রতি একটি নিলামে কোটি কোটি টাকার বিনিময়েই বিক্রি হয়ে গেল 'এক চিমটি' ধুলো! তবে, এই ধুলো কোনও যেমন-তেমন জায়গার ধুলো নয়। বস্তুত, এই ধুলো এই দুনিয়ারই নয়! এই ধুলো হল চাঁদের ধুলো!
সূত্রের খবর, এই নিলামটির আয়োজন করা হয়েছিল বুধবার। সেখানেই নাসার সংগ্রহে থাকা চাঁদের ধুলোর নমুনা বিক্রির জন্য ওঠে। এই ধুলো আনা হয়েছিল নীল আমস্ট্রংয়ের আমলে। অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সদস্য নীল আমস্ট্রং প্রথমবারের জন্য পৃথিবীর প্রতিনিধি হিসেবে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। সেই সময়েই চাঁদের পৃষ্ঠদেশ থেকে এই ধুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে তা পৃথিবীতে নিয়ে আসেন অভিযাত্রীরা। এতদিন সেই ধুলোর নমুনা রাখা ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কাছে।
তবে, আমার আপানার কাছে চাঁদের এই ধুলোর দাম মহাকাশছোঁয়া মনে হলেও উদ্যোক্তারা কিন্তু এই দাম পেয়ে মোটেও খুশি নন! তাঁদের আশা ছিল, আরও বেশি দামে বিক্রি হবে এই ধুলো। তাঁরা সকলেই ভেবেছিলেন, নিলামে চাঁদের ধুলোর দাম উঠবে ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ মার্কিন ডলার। কিন্তু, বাস্তবে তার অনেকটা আগেই থেমে গিয়েছেন ক্রেতারা। অগত্যা 'লোকসান' কবুল করেই ধুলো বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ!
১৯৬৯ সালে চাঁদের পৃষ্ঠদেশের পৌঁছনোর পরই পৃথিবীতে সেকথা জানান নীল আমস্ট্রং এবং বাজ অ্যালড্রিন। এরপর নির্দেশ মাফিক, চাঁদের মাটিতে নেমে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেন নীল। সেই সময় নাকি মহাকাশচারীদের বলতে শোনা গিয়েছিল, চাঁদ থেকে তাঁরা মাটি হিসেবে যে নমুনা সংগ্রহ করছেন, তা আদতে পাথুরে। অনেকটা বালির মতো গড়ন। সেই মাটি এতটাই মিহি যে তা অনেকটা পাওডারের মতো বলেও উল্লেখ করেছিলেন দুই নভশ্বর। চাঁদের মাটির নমুনা সংগ্রহ করার পর তা একটি নির্দিষ্ট ব্যাগে ভরে সিল করে দেন নীল আমস্ট্রং।
বিশেষজ্ঞদের হাতে আসা তথ্য বলছে, চাঁদের পিঠে কোনও হাওয়া নেই। কিন্তু, সেখানে সৌরবায়ু নিয়মিত আছড়ে পড়ে। এর ফলে এক বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক শক্তিক্ষেত্র তৈরি হয়। যার প্রভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা পদার্থগুলি মিহি বালুকণার মতোই মসৃণ হয়ে যায়। শুধু তাই নয়। এই একই কারণে এই মাটি, ধুলো বা বালি (যাই বলুন না কেন) আশপাশের সমস্ত কিছুর সঙ্গে আটকে যায়। যে মহাকাশ্চারীরা চাঁদের পিঠে অবতরণ করেছিলেন, তাঁদের পোশাকেও এই ধুলো লেগে গিয়েছিল! সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।