Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবী ধ্বংস হলে কী হবে? নতুন ঠিকানার খোঁজে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ এপ্রিল, ২০২২, ৬:০৬ পিএম

এবার পৃথিবীর বিকল্প খুঁজছে চীন! জানা গিয়েছে, মহাকাশে এমন একটি 'বাড়ি' খোঁজ করার চেষ্টা করছে, যেখানে বসবাস করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছে 'আর্থ ২.০'।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স এই অভিযানের পরিকল্পনা করছে। যদিও এই প্রকল্প একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই অভিযানের পুরো পরিকল্পনা খতিয়ে দেখবেন বিশেষজ্ঞের আরও একটি দল। এরপর জুন মাসে এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হবে। এই অভিযানে কত টাকা খরচ হতে চলেছে সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু বলা হয়নি।

এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত মহাকাশ বিজ্ঞানী Jian Ge বলেন, " NASA-র Kepler এর থেকে ১০১৫ গুণ বেশি ক্ষমতাশীল হবে চীনের স্যাটেলাইট।" সৌরজগতের বাইরে এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধানের জন্যই এই মিশন। চীন এক্ষেত্রে ৬টি টেলিস্কোপ ব্যবহার করতে পারবে। সৌরজগতের বাইরেও প্রাণের সন্ধান করা হবে এই অভিযানের মাধ্যমে।

এই মিশনের উদ্দেশ্য স্পষ্ট, যদি পৃথিবীর উপর বড় কোনও বিপদ নেমে আসে সেক্ষেত্রে যাতে বিকল্প ঠাঁইতে বসবাস করতে পারেন সাধারণ মানুষ। এই একই লক্ষ্যে মহাকাশ অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল NASA। অন্যদিকে 'আর্থ ২.০ ' -এর জন্য আন্তর্জাতিক চু্ক্তির দরজা খোলা রাখতে পারে চীন, প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।

এই বিকল্প পৃথিবী খোঁজার জন্য চীনের অনেক তথ্যের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে গবেষণার জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার দরজা এখনই বন্ধ করতে নারাজ চীন, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এমনটাই। চীনের প্রাথমিক অনুমান, আগামী কয়েক দশকে পৃথিবীর পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সাতটি টেলিস্কোপের মাধ্যমে এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান করবে চীন। তবে এই মিশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করার আগে শি জিনপিং প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে।

উল্লেখ্য, মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অতীতেও বিস্তর এগিয়ে ছিল চীন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে চীনের চন্দ্রযান চ্যাং-৫ চাঁদকে প্রদক্ষিণ করেছিল। টানা ২৩ দিন ধরে চলে এই অভিযান। সেই সময় এই যানে ৪০ গ্রাম ধান বীজ রাখা হয়েছিল। ওই বীজগুলির উপর কী প্রভাব পড়ছিল তা খতিয়ে দেখার জন্যই অভিযান চালিয়েছিল গুয়াংডং প্রদেশের সাউথ চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি। এরপরেই খাদ্য সংকট মেটাতে মহাজাগতিক চালের থেকে ফসল ফলানোর পদক্ষেপ নিয়েছিল চীন। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে আসা ধানের বীজ থেকে ফসল ফলাতে উদ্যোগী হয়েছিল তারা। সূত্র: সিজিটিএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ