Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কর্ণাটকে এবার হালাল মাংস বয়কট করার দাবি হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলোর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২২, ৯:৪৮ পিএম

''হিজাব' বিতর্কের ও কর্ণাটকের উডুপি জেলায় ৪০০ জন মুসলিম ছাত্রীকে ক্লাস ছেড়ে যেতে বাধ্য করার পর এবার হালাল' মাংসের উপর নিষেধাজ্ঞার দাবি করছে হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলো।মুসলমানদের লক্ষ্য করে সর্বশেষ প্রচারে কর্ণাটক রাজ্যে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং বিজেপি নেতারা ‘হালাল’মাংস বিক্রির বিষয়ে আপত্তি জানাতে শুরু করেছে।–কেএমএসনিউজ, মুসলিম টাইমস

কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে হিন্দু ধর্মীয় মেলা এবং মন্দির চত্বরে মুসলিম দোকান এবং স্টলগুলোতে দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এমনটি ঘটে। হিন্দু জন জাগৃতি সমিতি, একটি ডানপন্থী গোষ্ঠী, বলেছে যে, তারা 'হালাল' মাংস কেনার বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা শুরু করছে। কারণ, পশুকে ইসলামিক রীতিনীতির অধীনে জবাই করা হয় এবং হিন্দু দেবতাদের কাছে নিবেদন করা যায় না। সমিতির মুখপাত্র মোহন গৌড়া বলেছেন, ঈদের সময় মাংসের একটি বড় কেনাকাটা হয় এবং আমরা হালাল মাংসের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করছি৷

ইসলাম অনুসারে, হালাল মাংস প্রথমে আল্লাহর কাছে উৎসর্গ করা হয় এবং হিন্দু দেবতাদের কাছেও তা দেওয়া যায় না। বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সি.টি. রবি বলেছিলেন যে, 'হালাল' মাংস মুসলিম সম্প্রদায়ের "অর্থনৈতিক জিহাদের" অংশ। তিনি আরও বলেন, এটা তাদের ওপর আরোপ করা হয়েছে যাতে তাদের অন্যের সঙ্গে ব্যবসা করতে না হয়। চিকমাগালুরের বিজেপি বিধায়ক বেঙ্গালুরুতে বলেছিলেন, মুসলিমরা যখন হিন্দুদের কাছ থেকে মাংস কিনতে অস্বীকার করে, তখন আপনি কেন হিন্দুদের তাদের কাছ থেকে মাংস কিনতে বাধ্য করবেন?" তিনি আরও বলেন, এই ধরনের বাণিজ্যচর্চা একটি দ্বিমুখী রাস্তা। মুসলিমরা যদি হালাল মাংস খেতে রাজি হয়, তাহলে হিন্দুরাও হালাল মাংস ব্যবহার করবে।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও জনতাদল (ধর্মনিরপেক্ষ) নেতা এইচ.ডি. কুমার স্বামী বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন যে, রাজ্যের সমস্ত ৬৫ মিলিয়ন মানুষকে রক্ষা করার জন্য সরকার দায়ী, শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায় নয়। তিনি যোগ করেছেন যে, বিজেপি ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলির দাবি করা এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করছে। কারণ, ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন সামনে রয়েছে।

ইতিমধ্যে, রাজ্যের ৬১ জনপ্রগতিশীল চিন্তাবিদ, যার মধ্যে কে.মারালুসিদ্দাপ্পা, অধ্যাপক এসজিও সিদ্দারা মাইয়া, বলওয়ার মহামাদকুন্হি এবং ডক্টর বিজয়া, ধর্মীয় বিদ্বেষ রোধ করার আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইকে চিঠি লিখেছেন৷ উল্লেখ্য, কর্ণাটক হাইকোর্ট এই মাসের শুরুতে স্কুল এবং কলেজের ক্লাসরুমে হিজাব পরার উপর রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখে বলেছে যে, এটি ইসলামের অপরিহার্য অংশ নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ