নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেমিফাইনালে ওঠার অর্ধেক কাজ আগেই সেরে রেখেছিল লিভারপুল। ফিরতি পর্বে তাদের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করল বেনফিকা। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হলো না। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে উঠে গেল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
বুধবার রাতে অ্যানফিল্ডে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে জেতা লিভারপুল দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৪ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ চারে পা রেখেছে। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংলিশ ক্লাবটির প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল। খেলার অষ্টাদশ মিনিটে প্রথম ভালো সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরা। রবের্তো ফিরমিনোর সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে ডি-বক্সে বাড়ান লুইস দিয়াস। এগিয়ে এসে জেমস মিলনারকে রুখে দেন গোলরক্ষক ওদেসিয়াস ভ্লাখোদিমস।
দুই মিনিট পরই মেলে সাফল্য। কসতাস সিমিকাসের কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে নেন ইব্রাহিমা কোনাতে। প্রথম লেগেও হেডেই দলের প্রথম গোলটি করেছিলেন এই ফরাসি ডিফেন্ডার। লিভারপুলের হয়ে সেটি ছিল তার প্রথম গোল। একটু পর বেনফিকার দারউইন নুনেস বল জালে পাঠালেও অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। ২৫তম মিনিটে দিয়াসের জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ভ্লাখোদিমস।
৩২তম মিনিটে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। দিয়োগো গনসালভেসের পাস লিভারপুলের মিলনারের পা ছুঁয়ে পেয়ে যান গনসালো রামোস। বক্সে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে আলিসনকে পরাস্ত করেন এই পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। প্রতিপক্ষের রক্ষণের দুর্বলতায় ৫৫তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় লিভারপুল। দুইবার সুযোগ পেয়েও বল ক্লিয়ার করতে পারেনি সফরকারীরা। জটার পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান ফিরমিনো।
১০ মিনিট পরই নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান বাড়ান ফিরমিনো। সিমিকাসের দারুণ ফ্রি-কিকে ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ৭৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান রোমান ইয়ারেমচুক। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে আলিসনকে কাটিয়ে গোলটি করেন তিনি। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।
সাত মিনিট পর সমতা টানেন নুনেস। এবারও শুরুতে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। একইভাবে ভিএআরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে সালাহর পাস থেকে বল গোল করেন মানে। কিন্তু অফসাইডে বাঁশি বাজান রেফারি।
ঘরের মাঠে জিততে না পারলেও মৌসুমে চার শিরোপার সবগুলো জয়ের পথেই থাকল লিভারপুল। ইউরোপা সেরার মঞ্চে শেষ চারের প্রথম লেগে আগামী ২৭ এপ্রিল অ্যানফিল্ডে খেলবে ইংলিশ দলটি। এরপর ৪ মে ফিরতি লেগ হবে ভিয়ারিয়ালের মাঠে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।