পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যখন কোন মুসলমানের মধ্যে ঈমান আর জাতীয় শক্তি তাকওয়ার সমন্বয় ঘটবে তখনই প্রতিটি কাজ ও পদক্ষেপ জতির কাছে পছন্দ হবে। আর মেহেরবান আল্লাহ তা‘আলার গ্রহণযোগ্য হবে। ফলে আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে রহমত এবং বরকত পাওয়া যাবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘যখন কোন জনপদের লোকেরা ঈমান আনে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করে তখন আল্লাহ তা‘আলা সেই জনপদের লোকদের জন্য আসমান এবং জমিনের সমস্ত রহমাতের দরজা খুলে দেন। (সূরা আরাফ আয়াত : ৯৬৩)
তাকওয়া বা আল্লাহ ভীতি অবলম্বন করলে আল্লাহ পাক বান্দার গুনাহসমূহ মাফ করে দেন।
“যারা আল্লাহকে ভয় করে অদৃশ্যে নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও অতি বড় সুফল।” (সূরা মালেক আয়াত : ১২)
তাকওয়ার পর্যায় : তাকওয়ার কতগুলো স্তর বা পর্যায় রয়েছে যার মধ্যে প্রথম স্তর বা সর্বনিম্ন স্তর। প্রথমত : কুফর ও শিরক থেকে বেঁচে থাকা। আর যারা এমন গুন অর্জন করেছে তাদের প্রত্যেককে মুত্তাকীন বলা যায়। যদিও সে ছোট-খাটো কিছু গুনাহের মধ্যে জড়িত থাকে। দ্বিতীয় স্তর বা পর্যায় : যা আসলে কাম্য, তা হলো এমন সব বিষয় থেকে বেঁচে থাকা যা আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর রাসূলের পছন্দনীয় নয়। কুরআন ও হাদীসে তাকওয়া যেসব ফযিলত ও কল্যাণের কথা বলা হয়েছে। স্তরের তাকওয়ার উপর ভিত্তি করেই বলা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায় বা সর্বোচ্চ স্তর : নবী রাসূলগণ এবং যারা তার প্রকৃত অনুসারী তারা এ স্তরের তাকওয়া অর্জন করে থাকেন। অর্থাৎ অন্তঃকরনকে আল্লাহ ছাড়া অন্যসব কিছু থেকে বাঁচিয়ে রাখা এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর সন্তুষ্টি হাসিলের মাধ্যমে অন্তরকে পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ রাখা। আর এ স্তরটি হলো প্রকৃত তাকওয়ার হক।
তাকওয়ার শক্তি : যতক্ষণ না অন্তঃকরনে আল্লাহ ভীতি সৃষ্টি হবে, ততক্ষণ মুক্তি নেই মুসলমানদের। মুসলমানাদের প্রধান শক্তিই হলো তাকওয়া। কলিজায় আল্লাহর ভয় থাকলে দুনিয়ার কোন অপশক্তিকে মুসলমানেরা ভয় করবে না। বিশ্বের মুসলামনদের মুক্তির জন্য একমাত্র উপায় হলো তাকওয়া, আল্লাহ ভীতির নীতি অবলম্বন করলে আল্লাহ বিজয় দান করেন।
অতএব যারা আল্লাহ ভীতি অন্তরে জায়গা করে দেন তারাই প্রকৃত সফলকাম।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, “যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুগত্য করে, আল্লাহ ভয় করে আর তাকওয়া অর্জন করে (আল্লাহর শাস্তি থেকে ঁেবচে থাকার জন্য অপরাধ থেকে বেঁচে থাকে) তারাই সফলকাম।” (সূরা নূর আয়াত : ৫২)
মুত্তাকীদের সঙ্গী স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। আল্লাহ যাদের সঙ্গী হয়ে যান তাদের চেয়ে শক্তিশালী আর কে হতে পারে? আল্লাহ পাক কুরআনুল কারীমে বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তাদের সাথে আছেন যারা আল্লাহ ভীতির নীতি অবলম্বন করবে এবং সৎ কাজ করে। (সূরা নাহল আয়াত : ১২৮)
মুত্তাকী যারা তাদের অন্তঃকরণ সুস্থ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন : ‘আজিকার দিনে (কিয়ামত দিবসে) সম্পদ আর সন্তান-সন্ততি কোন কাজে আসবেনা শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলা যাকে সুস্থ অন্তঃকরন দিয়েছেন তা নিয়ে যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট উপস্থিত হবে। অর্থাৎ, শুধু দুনিয়াতে নয় আখিরাতেও সফল কাম হবে। (সূরা আশ শূরা আয়াত : ৮৯)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।