Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙল মধ্যপ্রদেশ সরকার

রামনবমীর মিছিলে হামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০১ এএম

রামনবমীর দিন গোলমাল হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি জেলায়। সেই ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়ি, দোকান বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হলো।
খারগোনে রামনবমীর মিছিলে পাথর মারা হয়, গুলি চলে, কিছু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পুলিশ সুপার সিদ্ধার্থ চৌধুরীর পায়েও গুলি লেগেছিল। তারপরই সোমবার একটি সম্প্রদায়ের মানুষ, যাদের বিরুদ্ধে পাথর মারার অভিযোগ রয়েছে, তাদের বাড়ি, দোকান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেয়া হয়। ডিভিশনাল কমিশনার পবন শর্মা জানিয়েছেন, মোট ৫০টি জায়গায় এ অভিযান চলে। সরকারের দাবি, বেআইনি জমির ওপর বাড়ি বা দোকানগুলো তৈরি হয়েছিল। তাই তা ভেঙে দেয়া হয়েছে। মোট ৮৪ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। চারজন সরকারি কর্মী গুজব ছড়ানোর জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ঘটনার পরেই বলেছিলেন, দাঙ্গাকারীদের ছাড়া হবে না। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের খেসারত তাদের দিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছিলেন, যারা এ কাজ করেছেন, তাদের বাড়ি ভেঙে দেয়া হবে। শুধু খারগোন নয়, বারয়ানিতেও একই ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। মধ্যপ্রদেশের এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারি দেশের মানুষের জীবন নারকীয় করে তুলেছে। সরকারের উচিত সেই সমস্যা ওপর বুলডোজার চালানো। তা না করে তারা বুলডোজার দিয়ে ঘৃণা ও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সভাপতি কমলনাথ পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তার কাছে রিপোর্ট জমা দেবেন। এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বলেছেন, মধ্যপ্রদেশ সরকার বেআইনি কাজ করেছে এবং যথেচ্ছাচার করেছে। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, ওয়েইসিজি তো পাথর মারার ঘটনার নিন্দা করেননি, এখন তিনি সরকারি ব্যবস্থার নিন্দা করছেন। তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তিনি কেন আহত বোধ করছেন। জমিয়ত-উলেমায়ে হিন্দ বলেছে, ‘সংখ্যালঘুদের হয়রানি করা হচ্ছে’। সিপিএমের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী কেন চুপ করে আছেন? সূত্র : পিটিআই, নিউজ ২৪, ডেকান হেরাল্ড।
ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর জন্য কেনা হয়েছে ৩৫ হাজার পিস ভায়াগ্রা
ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রাজিলের সেনাবাহিনীর জন্য ৩৫ হাজার পিস যৌন উত্তেজব বড়ি ভায়াগ্রা কেনা হয়েছে। সোমবার দেশটির এক আইনপ্রণেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। ব্রাজিলের পার্লামেন্ট কংগ্রেসের সদস্য ইলিয়াস ওয়াজ জানিয়েছেন, তথ্যের স্বাধীনতার আওতায় আবেদনের মাধ্যমে তিনি জেনেছেন প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর সরকার সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ৩৫ হাজার পিস যৌন শক্তিবর্ধক ওষুধ কেনার অনুমোদন দিয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। বোলসোনারো ও তার লোকজন জনগণের টাকা দিয়ে ছোট নীল বড়ি কিনছেন।’ তিনি সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘অনৈতিক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ওয়াজ জানান, তিনি যে নথিগুলি পেয়েছেন তাতে ভায়াগ্রার নাম উল্লেখ নেই। যে ওষুধ কেনার আদেশ দেওয়া হয়েছে তার উপাদান সিলডেনাফিল বলে জানানো হয়েছে। এই সিলডেনাফিল হচ্ছে ভায়াগ্রার মূল উপাদান।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বড়িগুলো আসলে ‘পালমোনারি আর্টেরিয়াল হাইপারটেনশন রোগীদের চিকিৎসার জন্য’ বা ফুসফুসে উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ