মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বছরের পর বছর ধরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রথম স্ত্রীর পক্ষের দুই মেয়েকে ঘিরে ছিল রহস্যময়তা। তবে সম্প্রতি চাপিয়ে দেওয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সেই রহস্যময়তার ভেঙে ফেলেছে তাদের রহস্যময়তার খোলস। আড়াল থেকে একেবারে লাইমলাইটে চলে এসেছেন পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া পুতিনা এবং ক্যাটরিনা তিকহোনোভা।
পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া পুতিনা এবং ক্যাটরিনা তিকহোনোভার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা মূলত একটি প্রতীকী পদক্ষেপ। কারণ তাদের রাশিয়ার বাইরে উল্লেখযোগ্য সম্পদ রয়েছে কী না জানা যায় না। এর আগে ২০১১ সালে পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তার মেয়েরা ‘সাধারণ জীবন’ যাপন করে। সে সময় চ্যানেল ওয়ান টেলিভিশনকে পুতিন বলেছিলেন, তারা রাজনীতি বা ব্যবসার সাথে জড়িত নয়, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। তবে পুতিনের ওই সাক্ষাৎকারের পরে পুতিনের দুই মেয়েই ব্যবসায় পা রাখেন।
ভ্লাদিমির পুতিন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট হলেও নিজের পরিবার নিয়ে সব সময় গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেন তিনি। ফলে তার মেয়েদের সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না। মারিয়া পুতিনা হলেন ভ্লাদিমির পুতিনের বড় মেয়ে। বর্তমানে তার বয়স ৩৫। তিনি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োলজি বা জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। এরপর তিনি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিন নিয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন। তিনি বর্তমানে এন্ডোক্রিনোলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন এবং মেডিসিন বিদ্যায় ক্যারিয়ার গড়েছেন। মারিয়া পুতিনা নেদারল্যান্ডসের ব্যবসায়ী জোরিত ফাসেনকে বিয়ে করেছেন। ধারণা করা হয় তাদের সন্তানও রয়েছে।
অন্যদিকে পুতিনের ছোট মেয়ে ক্যাটরিনা তিকহোনোভার বর্তমান বয়স হলো ৩৪। তিনি রক এন রোল নামে বিশেষ একটি নাচের নৃত্যশিল্পী ছিলেন। বর্তমানে তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করেন। ইনোপ্রাকতিকা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটির ১.৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি আছে। ক্যাটরিনা বিয়ে করেছিলেন রাশিয়ার সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার কিরিল সামালোভকে। যদিও ক্যাটরিনা ও সামলোভের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন তার দুই মেয়ের কাউকে প্রকাশ্যে আনেননি এমনকি মেয়েদের নিয়ে খুব কম কথাও বলেন তিনি। তবে তার দুই মেয়ে বিশ্বব্যাপী এতোটা পরিচিত না হলেও তারা দুইজনই রাজকীয় জীবন যাপন করেন। সূত্র : ফরচুন, ব্লুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।