নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার ঐতিহাসিক ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে দেশে ফিরছে টিম বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে হারলেও মাহমুদুল হাসান জয় দারুণ এক সেঞ্চুরি করেন। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ব্যাটিং ব্যর্থতায় আরও বড় ব্যবধানে হেরেছে মুমিনুলরা।
এই হারের জন্য ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনাকেই দায়ী করছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরামা খান। সফরে ডারবানে প্রথম টেস্টে ২২০ রানে হারের পর পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় টেস্টে হেরেছে ৩৩২ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থ। মাত্র ৫৩ রানে ১০ উইকেটে হারায় তারা। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ২১৭ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ৮০ রানে।
টেস্টে এক মাত্র মাহমুদুল হাসান জয় ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই সুবিধা করতে পরেনি। প্রায় ১ মাসের এই সফর শেষে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ দল। ক্রিকেটাররা দেশে ফিরলেও খুব বেশি বিশ্রামের সুযোগ নেই ক্রিকেটারদের। ক্রিকেটাররা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেবেন।
ডিপিএল শেষে প্রায় এক সপ্তাহ বিশ্রামের সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপর শুরু হবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রস্তুতি। আগামী মাসেই টাইগারদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলতে ঢাকায় পৌঁছাবে শ্রীলঙ্কা টেস্ট দল।
টেস্ট সিরিজে হোয়াটওয়াশ নিয়ে বুধবার দুপুরে মিরপুরে আকরাম খান বলেন,‘একটা টেস্ট খারাব হতেই পারে। কিন্তু একটা খারাব হলেই ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনা শুরু করে দেই। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের উপর। এই সমলোচনা বন্ধ করতে হবে।’
এছাড়া আকরাম বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় ক্রিকেটাররা বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তিত। খেলার চেয়ে বাইরের বিষয় নিয়ে বেশি চিন্তা বাদ দিতে হবে। কিভাবে আমাদের দলটাকে উন্নতি করতে সেই বিষয়ে প্লান করতে হবে। ওয়ানডে ক্রিকেটে আমাদের নির্ভর একটা দল। ওয়ানডে যেমন ব্যটিং, ফিল্ডিং ও বোলিং ভালো হয়। টেস্টে গিয়ে আমরা সেটা করতে পারছিনা।’
খেলোয়াড়দের মানষিক ভাবে স্বাধীন দেয়ার বিষয়ে আকরাম বলেন, ‘খেলোয়াড়রা মাঠেই বাইরের বিষয় নিয়ে পেশারে থাকে। আমার কাছে মনে হয় মাঠের বাইরের কথাগুলো বেশি পেশা হয়ে যাচ্ছে। তাই সবাইকে কথা চেয়ে খেলা নিয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ক্রিকেটাররা কিভাবে পেশার ছাড়া খেলতে পারে সেই বিষয়টা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।;
খেলোয়াড়রা পারফরম্যান্সের চেয়ে কথার কারণে বেশি পেশার করতে হবে। এসব কিছু আমাদের কণ্টল করতে হবে। একটা ম্যাচ হারতেই পারে। প্রথম ম্যাচ হারের পর অনেক কথা বলা হয়েছে। সে বিষয় নিয়ে
ঘরোয়া ক্রিকেটে এখন অনেক ভালো হয়েছে। আমরা যখন শুরু করেছি। তখন চার দিনের ম্যাচ খেলতামনা। সাকিব-তামিম ১০ থেকৈ ১২ বছর ধরে খেলছে। তার কিন্তু একটা পর্যায়ে নিয়ে যাবে।
প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন উইকেটে। এমন উইকেটে খেললে উন্নতি হবে। উইকেটের কথা চিন্তা না করে কোন উইকেটে কিভাবে খেলতে হবে সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।