Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রকৃত সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে হবে: প্রফেসর ড. মশিউর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ৪:০৮ পিএম

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘যখন অনেক কিছু অপসংস্কৃতির মধ্যে ঢুকে যায়, ইতিহাস বিকৃতির মধ্যে ঢুকে যায়; সেই সময় ইতিহাস চর্চা, লেখকের শক্তিমত্তাই মূলত প্রকৃত সত্যের কাছে পৃথিবীর সকল মানুষকে সম্মিলীতভাবে নিয়ে যেতে পারে। এটিই হচ্ছে লেখা এবং লেখকের শক্তি। লেখনিতে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের মাধ্যমে ইতিহাস বিকৃতি রোধ করতে হবে।’ বুধবার (১৩ এপ্রিল) গাজীপুরে মূল ক্যাম্পাসে সিনেট হলে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক গ্রন্থের ওপর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউটের গবেষকদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে আরও গভীর অনুসন্ধানের মধ্যদিয়ে জানতে হবে। মাঝে মাঝে চ্যালেঞ্জ আসে। সেই চ্যালেঞ্জে অনেক ক্যারিশমেটিক লিডারদের অবদান কখনো কখনো সীমিত করার প্রয়াস চলে। ইতিহাসের শিক্ষার্থীদের, একজন গবেষক এবং লেখকের উচিত সেই সময়ে ক্ষুরধার লেখনীর মধ্য দিয়ে প্রকৃত সত্য ধারণ করে সেই প্রসঙ্গ নিয়ে আসা। পৃথিবীতে লেখা এবং লেখকের শক্তি চিরঞ্জীব হউক। তাদের দ্বারাই পৃথিবী আলোকিত হউক। পৃথিবী আলোকিত হওয়া মানেই বঙ্গবন্ধু আলোকিত হওয়া। বাংলাদেশ আলোকিত হওয়া।’

প্রফেসর মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে এই বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। একজন স্থপতি তাঁর সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেন নিখুঁতভাবে কাজটি করার। সেই কাজটিই করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট এর মতো এই দেশটা সাজিয়েছেন। এই কাজটি করতে গিয়ে তিনি এখানে সৌন্দর্য আনা, স্থায়িত্বের রূপ দেয়া থেকে শুরু করে সকল কিছু অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে করেছেন। একারণেই তিনি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টির মহানায়কে পরিণত হয়েছেন। ওই সময়ে পরাশক্তির কাছে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। জাতিরাষ্ট্র তৈরিতে তিনি চার মূলনীতি তৈরি করেছেন। যেটি বাঙালির জন্য অপরিহার্য ছিল। এই বাংলার শক্তি- বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা। এই চার মূলনীতির মধ্যে যদি বাংলাদেশ থাকে, তাহলে তার স্থায়িত্ব, সৌন্দর্য, অবিনাশী সুর যেমন থাকবে, তেমনি ওই রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি নাগরিক আত্মসম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে।’

‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের নামকরণ যথার্থ হয়েছে উল্লেখ করে ভিসি বলেন, ‘একজন লেখকের লিখবার সময় আরও নতুন নতুন তৃষ্ণা জাগে, প্রশ্ন জাগে। কিন্তু এক লেখায় হয়তো সব প্রশ্নের বা তৃষ্ণার মীমাংসা হয় না। পরবর্তী লেখকের জন্য বর্তমান লেখক নতুন উপকরণ রেখে যায়। পরবর্তী লেখকের উচিত সেই উপকরণের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ চিন্তা ভাবনা উপস্থাপন করা।’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মো. মনিরুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বইয়ের লেখক অ্যালভীন দীলিপ বাগ্চী প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ