নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হাইভোল্টেজ ম্যাচে রিয়ালকে হারিয়েও বিদায় চেলসির। সেমিফাইনালে উঠার লড়াইয়ে শুরু থেকেই উজ্জীবিত হয়ে চেলসি বের্নাবেউয়ের সবুজ গালিচায় নিজেদের মেলে ধরল সর্বোচ্চ সেরা রূপে। প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে জালে বল পাঠাল তিনবার। শেষ দিকে কোনোমতে ঘুরে দাঁড়াল রিয়াল। আর অতিরিক্ত সময়ে ভিনিসিউস-বেনজেমার জুটিতে গোল করে উঠে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-২ গোলে হেরে গেছে রিয়াল। কিন্তু প্রথম লেগের ৩-১ ব্যবধানে জয়ের সুবাদে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ গোলের অগ্রগামিতায় ফাইনালে উঠেছে কার্লো আনচেলত্তির দল।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে পঞ্চদশ মিনিটে গোল আদায় করে নেয় চেলসি। জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মাউন্ট। পরের মিনিটেই পাল্টা গোলের সুযোগ পায় রিয়াল। কিন্তু হতাশ করেন বেনজেমা। ৩৪তম মিনিটে অনেক দূর থেকে জোরাল শটে আরেক দফা ভীতি ছড়ান আন্টোনিও রুডিগার। বল পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে হাফ ছাড়ে রিয়াল।
প্রথমার্ধের লড়াই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। বিরতির পরও রিয়াল ফিরতে পারেনি স্বরূপে। বলা যায়, তাদেরকে জ্বলে ওঠার জায়গাই দেয়নি চেলসি। পুরো মাঠের সবখানেই যেন ছিল চেলসির খেলোয়াড়রা। ৫১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইনে সমতা টানে শিরোপাধারীরা।
গোল হতে পারতো আগের মিনিটেই, তবে রিস জেমসের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। বল মদ্রিচের পায়ে লেগে গিয়েছিল ভেবে কর্নার দেন রেফারি, যদিও রিপ্লেতে দেখা যায় ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের পায়ে বল স্পর্শ করেনি। ওই কর্নারেই দারুণ হেডে রিয়াল আরও কোঠাঠাসা করে ফেলেন রুডিগার।
পরের ছয় মিনিটে দুটি ভালো সুযোগ পায় রিয়াল। প্রথমবার বেনজেমা ছয় গজ বক্সে বলে পা লাগাতেই পারেননি। আর দ্বিতীয়বার টনি ক্রুসের দারুণ ফ্রি কিক অসাধারণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ফেরান এদুয়াঁ মঁদি। ৭৫তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে বের্নাবেউকে স্তব্ধ করে দেন ভেরনার।
ডি বক্সে বল পেয়ে দানি কারভাহালকে কাটিয়ে দাভিদ আলাবার বাধা এড়িয়ে শট নেন জার্মার ফরোয়ার্ড। বল কোর্তোয়ার গায়ে লেগে খুঁজে নেয় ঠিকানা। ফলে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চেলছি। ৭৮তম মিনিটে আক্রমণের ধার বাড়াতে কাসেমিরোকে তুলে রদ্রিগোকে নামালেন আনচেলত্তি।
ম্যাচের ৮০ মনিটে মদ্রিচের অসাধারণ এক ক্রসে দারণ ভলিতে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এই গোলের মধ্য দিয়ে ব্যবধান ২-১ দাঁড়ায়। শেষ মহুর্তে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে রিয়াল। অবশেষে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে জেগে উঠেন বেনজামা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা দুই নক-আউট ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা করিম বেনজেমা একাই টানেন দলকে। যোগ করা সময়ে অসাধারণ এক গোলে রিয়ালের ব্যবধান ২-৩তে নিয়ে আছে। সেই সাথে চেলছির স্বপ্ন ভেঙ্গে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে উল্লাসে মাতে রিয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।