নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মৌসুমের প্রথম কয়েক মাসে পথ হারিয়ে ধুঁকতে থাকা একটা দলের দায়িত্ব নিয়ে আশার প্রদীপ জ্বেলেছেন জাভি হার্নান্দেস। তার কোচিংয়ে বার্সেলোনা আবারও নজরকাড়া ফুটবল খেলতে শুরু করেছে। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে লা লিগার শিরোপা লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদকেও তারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা জানাতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন বার্সেলোনায় জাভির এক সময়ের সতীর্থ রোনালদিনহো।
লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে অনেকটা এগিয়ে থেকেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে রিয়াল। তাদের চেয়ে ১২ পয়েন্ট পিছিয়ে বার্সেলোনা। গত নভেম্বরে জাভি দায়িত্ব নেওয়ার সময় বার্সেলোনা লা লিগার টেবিলে নবম স্থানে ছিল। সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকা দলটা এখন দুই নম্বরে!
গত রোববার রাতে লেভান্তের মাঠে তিন পেনাল্টি আর পাঁচ গোলের ঘটনাবহুল ম্যাচে ৩-২ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা। ৩০ ম্যাচে ১৭ জয় ও ৯ ড্রয়ে বার্সেলোনার পয়েন্ট ৬০। এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। ৩৮ রাউন্ডের লড়াইয়ের বাকি কয়েক ম্যাচে রিয়ালকে টপকে যাওয়া তাই খুব কঠিন। তবে জাভির হাত ধরে বার্সেলোনা সেটা করে ফেললে অবাক হবেন না রোনালদিনিয়ো।
২০০৩ থেকে ২০০৮, পাঁচ বছর বার্সেলোনায় জাভির সঙ্গে খেলেছেন রোনালদিনহো। ফুটবলের ময়দানে স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের ভাবনা ও দুরদর্শিতা নিয়ে তখন থেকেই মুগ্ধ ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। মুন্দো দেপোর্তিভোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সাবেক সতীর্থকে প্রশংসায় ভাসালেন, ‘আমি জাভির কোচিংয়ে বদলে যাওয়া বার্সেলোনাকে দেখতে এসেছি। জাভি ফেরায় আমাদের আশাও নতুন করে জেগেছে। সে আমার বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ হওয়ায়, তার (বার্সেলোনায় ফেরাটা) সবাইকে এবং আমাকে রোমাঞ্চিত করে। খেলোয়াড়ী জীবনেই সে একজন কোচের মতো ফুটবলকে দেখতে পারতো।’
জাভি বার্সেলোনার খেলায় পুরনো ধাঁচ ফিরিয়ে আনতে খুব ভালো কাজ করছে বলে মনে করেন রোনালদিনহো। জাভির হাত ধরে দ্রæত স্বরূপে ফেরার আভাস দেওয়া বার্সেলোনা গত মাসে ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদকে এক রকম গুঁড়িয়ে দিয়ে তুলে নেয় ৪-০ গোলের জয়। অথচ তার আগের কয়েকটি ক্লাসিকোয় ছিল রিয়ালের টানা জয়। ক্লাসিকো জয়ের পর এবার রোনালদিনিয়োর মনে প্রিয় দলের লা লিগা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভবনাও উঁকি দিচ্ছে, ‘(২০০৩-০৪ মৌসুমে মাদ্রিদে জয়) সেটা ছিল দুর্দান্ত কামব্যাক। আমরা দারুণ ছন্দে ছিলাম এবং এটা আবারো ঘটতে পারে। আমি যেমনটা বলেছি, বার্সেলোনা আবারও ভালো খেলবে। আর আমি মনে করি, (লিগ শিরোপা লড়াইয়ে) যে কোনো কিছু হতে পারে।’
যাকে নিয়ে এত স্তুতি সেই জাভিও কায়মনে চাইছেন চীরপ্রতিদ্বন্দীদের সঙ্গে পুরোন হিসেবটা এবার একটু মিলিয়ে নিতে, ‘আমাদের কঠিন একটি বাধা (লেভান্তে) কেটে গেছে। তিনটি পেনাল্টি দেওয়ার পরও জয় পেয়েছি, এটিই তুলে ধরে আমরা কতটা লড়াকু এবং জয়ী মানসিকতার দল। এই ম্যাচটি নিয়ে আমার দুর্ভাবনা ছিল, কারণ লেভান্তে প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব কঠিন। তাদের দারুণ কিছু ফুটবলার আছে এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, ভিয়ারিয়ালের মতো দলকে তারা হারিয়েছে। স্বর্ণালী তিনটি পয়েন্ট পেয়েছি আমরা, যা আমাদেরকে লড়াইয়ে রাখছে।’
এই ‘লড়াইয়ে রাখা’ ব্যাপারটিতে কৌত‚হল জাগতে পারে অনেকের। কিসের লড়াই? শিরোপা লড়াই থেকে তো তারা পিছিয়ে পড়েছে অনেক আগেই! ৩০ ম্যাচে পয়েন্ট তাদের ৬০, ৩১ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। এই ব্যবধান তো ঘোচানো প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। জাভি নিজেও সেটা জানেন। তবু আশা ছাড়ছেন না বার্সেলোনা কোচ, ‘আমরা জানি, এটা কঠিন। কারণ রিয়াল মাদ্রিদ হোঁচট খায় খুব কমই। তবে আগামী দুই সপ্তাহে যদি ওরা কিছু পয়েন্ট হারায়, তাহলে আমরা আরেকটু বেশি করে বিশ্বাস করতে শুরু করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।