গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আপনি গতকাল বলেছেন, দেশে শক্তিশালী বিরোধীদল নেই। আসলে বনের নেকড়ে সব প্রাণী খেয়ে ফেলার পর বলছে যে, আর প্রাণী নেই। সবকিছু শিকার করে তারপরে বলছে আর কোনো শিকার নেই। বাংলাদেশে শক্তিশালী বিরোধীদল নেই। তিনি বলেন, বিরোধীদল অনেক শক্তিশালী বলেই আপনি ভীতু। আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরাম আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, রফিকুল আলম মজনু, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ও শ্রমিক নেতা সুমন ভুইয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি থেকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বিরোধীদলকে কবরস্থান করার ব্যবস্থা করেছেন। আর আপনি শক্তিশালী বিরোধী দলের কথা বলেন? বিরোধী দল শক্তিশালী বলেই কবরস্থানে আর লাল ঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। বিরোধীদল শক্তিশালী বলেই গণতন্ত্রের মাতাকে যে মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে তার কোনো সম্পর্ক নাই, তাকে তিন বছর ধরে বন্দি করে রেখেছেন। বিরোধীদল শক্তিশালী বলেই আপনি ভয়ে তরুণ রাজনীতিবিদ ইশরাককে বন্দি করেছেন। আপনি ভীতু প্রধানমন্ত্রী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদল দমনের সব ব্যবস্থা করেছে। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দেশের জনগণ বাস করেছে। জনগণের মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার সংবিধানে থাকলেও এক অলিখিত আদেশে হরণ করা হয়েছে। এভাবে বিরোধীদল দমন করে বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসক গদি রক্ষা করতে পারেনি, আপনারাও পারবেন না। সাহস থাকলে খালেদা জিয়াসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। দেখবেন জনগণের প্রবল স্রোত আপনার সিংসহানের দিকে কীভাবে ধেয়ে যায়! কারণ জনগণ চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
রিজভী বলেন, দেশের মানুষ ভয়ংকর দুঃসময়ের মধ্যে বসবাস করছে। তাদের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা নেই। অথচ সংবিধান আমাদের কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু তা শেখ হাসিনার অদৃশ্য ইশারায় বন্ধ। দেশের গণতন্ত্রের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড নেই। কিন্তু তারা গণতন্ত্রকে ভয় পায়। গণতন্ত্রের মানে তো বিরোধীদল আপনাদের সমালোচনা করে আপনাদের ভুল ধরিয়ে দেবে। কিন্তু আপনারা সেটা সহ্য করতে পারেন না। বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, সরকার পাতানো সংসদ করেছে। যেখানে বিরোধী দল নেই। সেখানে মমতাজের গান হয়, কিন্তু বিরোধীদলের বিতর্ক নেই। আর বলেন দেশে বিরোধীদল নেই। অন্যদিকে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করছেন, কারাগারে বন্দি করেছেন। বিরোধী দল দমনের সমস্ত ব্যবস্থা আপনি করেছেন। আসলে আপনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন, আর রাতের অন্ধকারে ফাঁকা বুলি দিচ্ছেন।
‘দুদকে সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ নাটক’ তথ্যমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের উত্তরে রিজভী বলেন, বিএনপি নাটক করছে। আরে আপনি বলেননি কিসের নাটক? এই নাটক তো বিখ্যাত লেখক বার্নার্ড শ’র নাটক। শেক্সপিয়ারের নাটক। সেখানে বিএনপির মতের প্রতিফলন ঘটেছে। আপনারা তো ক্ষমতায় আসার পর ১১ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন। আর আমাদের কাজকে বলছেন নাটক। ওটা তো বাস্তব জীবনের নাটক। আপনারা পদ্মা সেতু, ব্যাংক সহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে লুট করে টাকা পাচার করেছেন। আপনারা মহা দুর্নীতি করেছেন। এজন্যে আপনাদের জবাবদিহি করতে হবে। জনগণ এখন চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনাদের অবশ্যই খালেদা জিয়াসহ সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। সংগঠনের সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।