Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার উপকূলীয় এলাকার নারীদের জীবিকায়ন ও সুপেয় পানি নিশ্চিত করেছে : ইন্দিরা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২২, ৫:১৭ পিএম

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার উপকূলীয় এলাকার ৪৩ হাজার পরিবারের জীবিকায়নে সহায়তা প্রদান করছে। এসব পরিবারের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু, নিরাপদ এবং সারা বছর পানযোগ্য পানীয় জলের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। গ্রীণ ক্লাইমেট এডাপটেশন (জিসিএ) প্রকল্পের আওতায় খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার ৫টি উপজেলায় ১৩ হাজার পরিবারে জন্য খানাভিত্তিক রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এ প্রকল্প থেকে ২২৮ টি কমিউনিটি, ১৯টি প্রতিষ্ঠান ও ৪১ টি পুকুর ভিত্তিক আল্ট্রা-ফিল্ট্রেশন রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং ব্যবস্থার মাধ্যমে ৩০ হাজার পরিবার সুপেয় পানিয়জলের সুবিধা পাবে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) খুলনার দাকোপ উপজেলায় গড়খালি পল্লীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় বাস্তবায়িত ‘উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর, বিশেষত নারীদের, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত লবনাক্ততা মোকাবেলায় অভিযোজন সক্ষমতাবৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং সিস্টেমের হস্তান্তর ও অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর একটি বাংলাদেশ অথচ জলবায়ুর পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোন দায় নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে স্বাদুপানির এলাকাসমূহে লবনাক্ত পানির অনুপ্রবেশ ঘটেছে। যার ফলে উপকূলীয় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠীর পানীয় জলের সহজলভ্যতা, স্বাদুপানি নির্ভর কৃষিকাজ ও জীবিকার ওপর ব্যাপক বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এর ফলে নারী ও শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ঘরে খাওয়ার পানি না থাকলে, তা সংগ্রহের জন্য নারীদের অনেক কষ্ট করতে হয়।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন, দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনসুর আলী খান, দাকোপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ