বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : শেরপুর জেলা শহরের উপকণ্ঠে মৃগি নদীর তীরে তিন দিনের জেলা ইজতেমা গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় আমিন আমিন ধ্বনিতে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। প্রায় আধাঘণ্টার এ মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমায় আগত তাবলিগ জামায়াতের মুসল্লি ছাড়াও সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ভিড় করে ইজতেমা ময়দানের আশপাশের প্রায় এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদীর পাড়, খোলা মাঠ, ধান ক্ষেত’র পাশে। ইজতেমা ময়দানে প্রায় এক লাখ লোকের সমাগমের ব্যবস্থা করা হলেও মোনাজাতে অংশ নেন প্রায় তিন লাখ মানুষ। ইজতেমার ময়দান থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে শত শত মহিলা অবস্থান নেন মোনাজাতে অংশ নিতে। মোনাজাতে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ মো: আতিউর রহমান আতিক, জেলা প্রশাসক ড: এ এম পারভেজ রহিম, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল, জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ইলিয়াছ উদ্দিনসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধি ও সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এ সময় দেশ ও বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নানা নির্যাতন এবং জুলুম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করা হয়। সেই সাথে ইসলামের নাম করে যারা মুসলমানদের বিপথগামি করছে তাদের ধ্বংস করার জন্য আল্লাহর কাছে মোনাজাত করা হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মার্কাসের মুরুব্বি মাওলানা ওমর ফারুক। মোনাজাতের আগে একটি যৌতুকবিহীন বিয়েও পড়ানো হয়। ইজতেমা থেকে ৬৮টি জামাত বের হয়ে যায় বলে তাবলিগের জিম্মাদাররা জানান। এলাকার দোকান-পাঠ মোনাজাত শেষে খুলতে থাকে। এ ছাড়া জেলা শহরের বাইপাস সড়কের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঢাকা-শেরপুর, শ্রীবরদী-বকশীগঞ্জ ও রৌমারি-রাজিবপুর সড়কের দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচলে কয়েক ঘণ্টার জন্য ব্যাহত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।