পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্তকৃত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দীনের চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন অনন্তকাল ফেলে রাখা যাবে না। এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। শরীফের করা রিটের শুনানিকালে গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ওই মন্তব্য করেন।
রিটের শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে শরীফ উদ্দীনের একটি আবেদন দুদকে পেন্ডিং রয়েছে। এ অবস্থায় একই বিষয়ে হাইকোর্টে রিট শুনানি চলতে পারে না। আদালত তখন দুদকের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা তার আবেদন নিষ্পত্তি করুন। আমরা এই রিট শুনানি ১৯ মে পর্যন্ত মুলতবি রাখছি। তবে চাকরি পুনর্বহাল চেয়ে মো. শরীফ উদ্দীন যে আবেদন করেছেন সেটি অনন্তকালের জন্য ফেলে রাখা যাবে না। এ সময় শরীফ উদ্দীনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন দোলন। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ. কে. এম. আমিন উদ্দিন মানিক। এর আগে গত ১৩ মার্চ চাকরি ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বরখাস্ত হওয়া দুদকের আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মো. শরীফ উদ্দীনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে অপসারণ করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দীনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দীন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে। সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে শরীফের মামলা রুজুর সুপারিশ সত্ত্বেও দুদক তাকে দায়মুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছে-মর্মে দৈনিক ইনকিলাবে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের দিনই আইয়ুব খান চৌধুরী চট্টগ্রামস্থ খুলশি এলাকার ভাড়া বাসায় গিয়ে সশরীরে লোকজন নিয়ে মো. শরীফ উদ্দীনকে চাকরি খাওয়ার হুমকি দিয়ে আসেন। এর ১৫ দিনের মধ্যেই দুদক থেকে শরীফ উদ্দীনকে অপসারণ করা হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শরীফের সহকর্মী ও অন্যান্য দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা রাস্তায় নেমে আসেন। তার দেশের সকল কার্যালয়ে কর্মবিরতি, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। ‘দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন’র ব্যানারে দুদক চাকরি-বিধির ৫৪(২) ধারা বাতিলের এই আন্দোলন এখনও চলমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।