পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহ তা‘আলা পৃথিবীকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষের বসবাসের উপযোগী সব ধরনের উপকরণ দিয়েছেন। এ পৃথিবীতে যারা বাস করে তাদের ধন-সম্পদ সমান দেননি। এটি আল্লাহ তা‘আলা মহান বৈশিষ্ট্যের একটি। সম্পদ অর্জন দোষের কিছু নয়, তবে তা কুক্ষিগত করে রাখার কোন সুযোগ নেই। এর ফলে ধনীরা আরো ধনী, আর গরীবরা আরো গরীব হয়ে যাবে। তাই আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘তাদের সম্পদে হক রয়েছে সাহায্যপ্রার্থী ও বঞ্চিতদের’। (সূরা : যারিয়াত, ১৯)
আল্লাহর নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘সেই ব্যক্তি মুমিন নয় যে পেট পূর্ণ করে আহার করে এবং তার পাশেই প্রতিবেশি থাকে অভুক্ত’। (মুসতাদরাক হাকিম, আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত) কুরআন মাজীদের উল্লিখিত আয়াত ও সংশ্লিষ্ট হাদীসের ভিত্তিতে বর্তমান সময়কে আরো ঘনিষ্ঠভাবে মূল্যায়নের সময় এসেছে। আমরা পথে বেরুলেই লক্ষ্য করি কিছু মলিন মুখ এখানে সেখানে রাস্তার পাশে বসে রয়েছে। এদের বেশির ভাগই ভিখেরি নয়। তারা অর্থসঙ্কটে থাকলেও কারো কাছে হাত পাততে পারছে না, কারণ এ ধরনের হাত পাতার অভ্যাস তাদের নেই।
মানুষের যে সমাজে বসবাস সেখানে ধনী-দরিদ্র উভয়ই রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে হয়ত অনেক ধনবান মানুষও বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছেন, কিন্তু তাই বলে প্রতিবেশিকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। মানুষ যত বেশি দান-খয়রাত করবে তার ধন-সম্পদে তত বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।