নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান তুলতেই ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিক দ.আফ্রিকা। ফলে লিড দাঁড়িয়েছে ৪১২ রানের। জিততে বাংলাদেশকে এখন করতে হবে ৪১৩ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে যা সত্যি কঠিন।
তৃতীয় দিন শেষে ৯.১ ওভারে ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। সাজঘরে ফিরেছেন জয় (০), শান্ত (৭) ও তামিম ইকবাল ১৩ রানে। দিনের খেলা শেষে ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক ৫ রানে অপরাজিত আছেন। এই টেস্ট জিততে বাকি দুই দিনে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৮৬ রান। অন্যদিকে স্বাগতিকদের প্রয়োজন মাত্র ৭ উইকেট।
বাংলাদেশকে ২১৭ রানে গুঁটিয়ে দেওয়ার পর ২৩৬ রানে এগিয়ে থেকে ফের ব্যাটিংয়ে নামে এলগারবাহিনী। যদিও টাইগারদের ফলোঅন করানোর সুযোগ ছিল তাদের সামনে। ফের ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার এরউই ও ডিন এলগার মিলে তুলে ফেলেন ৬০। দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন তারা। এলগারকে বোল্ড করে এই জুটি ভাঙেন তাইজুল। প্রোটিয়া দলপতির ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ২৬ রানের ইনিংস।
এলগারের বিদায়ের পর হাল ধরেন এরউই ও কিগান পিটারসেন। কিন্তু তাদের জুটিতে বড় হতে দেননি তাইজুল। দ্বিতীয় সেশনের একদম শেষ বলে পিটারসেনকে (১৪) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। যদিও রিভিও নিয়েছিলেন পিটারসেন, কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়ায় সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষেই যায়। এরপর ৬ রান যোগ হতেই বিদায় নেন এরউই (৪১)। খালেদ আহমেদের শিকার হওয়ার আগে এরউই ৬৬ বলে ৫ চারে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
এরপর রায়ান রিকেলটনকে (১২) বেশিদূর যেতে দেননি তাইজুল। তাকে মুমিনুলের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। ইনিংসে এটি তার তৃতীয় ও ম্যাচে নবম উইকেট শিকার। কিন্তু টেম্বা বাভুমা ও কাইল ভেরেইনে মিলে ফের প্রোটিয়া ইনিংসের চাকা সচল রাখেন। দুজনে মিলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। বাভুমাকে (৩০) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মিরাজ। পরে উইয়ান মুলডারকে (৬) বোল্ড করে ফেরান এই ডানহাতি স্পিনার। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ রোববার পোর্ট এলিজাবেথে বৃষ্টির কারণে খেলা কিছুটা বিলম্বে শুরু হয়। খেলা শুরু হওয়ার পর দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। আগের দিন যেখানে উইকেট পতনের মিছিল চলছিল, সেখানে আজ সকালে বেশ অনায়াসেই রান তুলেছেন মুশফিক ও রাব্বি। এর মধ্যে দিনের প্রথম ওভারেই টানা ৩ বাউন্ডারি হাঁকান রাব্বি।
মুশফিক ও রাব্বি দুজনেই ছুটছিলেন ফিফটির পথে। কিন্তু ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থামলেন রাব্বি। প্রোটিয়া স্পিনার কেশভ মহারাজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরার আগে রাব্বির ব্যাট থেকে আসে ৮৭ বলে ৪৬ রান। বিদায়ের আগে মুশফিকের সঙ্গে তার জুটিত ৭০ রান যোগ হয়।
রাব্বি বিদায়ের পর মিরাজকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন মুশফিক। ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটির দেখাও পান তিনি। কিন্তু হার্মারের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ফিফটি পার করলেও এক বল পরেই অযথা সুইপ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগের ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে মুশফিক ১৩৬ বলে ৮ চারে ৫১ রান করেন। এরপর ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি আর কেউই। তাইজুল ৫, মিরাজ ১১ ও এবাদত শূন্য রানে বিদায় নেন। বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার হার্মার ও মুলডার ৩টি করে এবং ডুয়ানে অলিভিয়ের ও কেশভ মহারাজ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে চার ব্যাটারের ফিফটিতে ভর করে সব উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৫৩ রান। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রান আসে মহারাজের ব্যাট থেকে। বল হাতে বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম একাই নেন ৬ উইকেট। ৩ উইকেট নেন পেসার খালেদ আহমেদ। জবাবে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন পার করে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান এবং তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩৩ রান। দিন শেষে মুশফিক ৩০ রানে এবং ইয়াসির ৮ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।