নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুবাইয়ে আইসিসি সভায় ব্যস্ত সময় কাটছে রমিজ রাজার। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত পাক-ভারত চার দলের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তাব, ভবিষ্যৎ সফর সূচির রূপরেখা, অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ এবারের সভা। কিন্তু দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পিসিবি প্রধানের পদে তার দায়িত্বে থাকা নিয়েই এখন জমে গেছে সংশয়ের মেঘ। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এখনই, ইমরান খান নেই, রমিজ রাজা কি থাকতে পারবেন?
রাজনীতি ও ক্রিকেট, পাকিস্তানে খুব ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। পদাধিকার বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ প্যাট্রন হয়ে থাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। সরকার পরিবর্তনে তাই বরাবরই বদল আসে ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বেও। আস্থাভোটে হেরে গিয়ে গতপরশু রাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান। ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ পদেও পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা বা শঙ্কা আছে প্রবলভাবেই।
ধারাভাষ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকা রমিজ রাজাকে ক্রিকেট প্রশাসনে নিয়ে আসেন ইমরানই। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের একান্ত চাওয়াতেই ম‚লত গত সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব নেন রমিজ। তার দায়িত্বের মেয়াদ তিন বছর। তবে তা এখন এক বছরও টেকে কিনা, সংশয় আছে যথেষ্ট। পিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর দারুণ সব পদক্ষেপে যদিও পাকিস্তানের ক্রিকেটে নতুন প্রাণের জোয়ার এনেছেন রমিজ। তবে নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ইমরানের ঘনিষ্ঠ রমিজকে বোর্ডে রাখার সম্ভাবনা সামান্যই।
পাকিস্তানের পত্রিকা ডেইলি এক্সপ্রেস-এর খবর, সরিয়ে দেওয়া হবে বলে কিছু আঁচ করতে পারলে নাকি নিজে থেকে দায়িত্ব ছাড়বেন রমিজ। ধারাভাষ্যের বেশ কিছু প্রস্তাব তার কাছে আছে। অবস্থা প্রতিক‚লে দেখলে পদত্যাগ করে সসম্মানে নিজের পুরনো পেশায় সাবেক এই ব্যাটসম্যান ফিরে যাবেন বলেই নাকি ঠিক করে রেখেছেন। পত্রিকাটির খবর, বোর্ডের সাবেক এক চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠমহলে এটা বলতেও শুরু করেছেন যে, তিনি আবার দায়িত্বে ফিরছেন। এই খবর যদি সত্যি নাও হয়, পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাস বলে, দেশের ক্ষমতার পালাবদলে বোর্ডে বদল আসা নিশ্চিত।
রমিজ রাজা পাকিস্তান বোর্ডের ৩৬তম চেয়ারম্যান। তবে সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে এই দায়িত্বে আসতে পেরেছেন তার আগে কেবল আর তিনজন- আব্দুল হাফিজ কারদার (১৯৭২-৭৭), জাভেদ বার্কি (১৯৯৪-৯৫) ও ইজাজ বাট (২০০৮-১১)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।