গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নওগাঁও মহাদেবপুর উপজেলায় হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ায় ১৮ জন ছাত্রীকে পেটানোর ঘটনায় বিভিন্ন ইসলামী দলের তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ অব্যাহত রয়েছে। হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনি পাল মুসলিম শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে বাঁধা দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। অবিলম্বে আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঃ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান মহাদেবপুর স্কুলে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীকে পিটানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে একজন সংখ্যালঘু সম্বপ্রদায়ের শিক্ষক কিভাবে এত বড় স্পর্দা দেয়া তা অবশ্যই ভাববার বিষয়। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কর্ণাটকে যখন হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়, তার সূত্র ধরে এদেশে অনেক জায়গায় হিজাব নিয়ে নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। নেতৃদ্বয় বলেন,
বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে এ ধরণের ঘটনা কোনোভাবে সহ্য করা যায় না। অবিলম্বে আমোদিনি পালকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
ইসলামী ঐক্যজোট ঃ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট ও মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল করিম খান আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, নওগাঁও স্কুলে হিজাব পরতে বাধা দেয়া চরম ধৃষ্টতার শামিল। হিজাব পালন করা মুসলিম নারীদের জন্য বাধ্যতামূলক বিধান। আল্লাহর দেয়া এই অলঙ্ঘনীয় বিধানের বিরুদ্ধে যে কারো অবস্থান মুসলমানরা মেনে নিবে না। নেতৃদ্বয় বলেন,মহাদেবপুর স্কুলের শিক্ষিকা আমোদিনি পাল হিজাব পরার কারণে ছাত্রীদের পিটিয়েছে। অবিলম্বে ইসলাম বিদ্বেষী আমোদিনি পালকে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তারা হিজাব নিয়ে কোনো বাধা বা নিষেধাজ্ঞা নেই সর্ম্পকিত সরকারি বিধি জারি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাতিল প্রতিরোধ পরিষদ ঃ বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল এক বিবৃতিতে নওগাঁও স্কুলে হিজাব পরা ছাত্রীদের মারধোর এবং হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে এ ঘটনার মূল হোতা আমোদিনি পালকে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। হাজী জালাল উদিদ্দন বকুল বলেন, ৯০% মুসলিম জনসংখ্যার দেশে হিজাব নিয়ে বার বার বিদ্বেষ ছড়ানো এবং বাধার সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তিনি বলেন, দেশে কোনো দাঙ্গা বাধানোর অসৎ উদ্দেশ্যে হিজাব নিয়ে কেলেংকারিরর ঘটনা ঘটছে কী না তা’খতিয়ে দেখতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।