Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্মীয় রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না -ছাত্রলীগ সম্পাদক

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৫২ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা রাজনীতি করবে আর কারা রাজনীতি করবে না সেটা পরিবেশ পরিষদই নির্ধারণ করে দিয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেছেন, কোনোরকম ধর্মীয় রাজনীতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলবে না। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও মৌলবাদ বিরোধী এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন লেখক।

এসময় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শতাধিক নেতাকর্মী।

লেখক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি শুধু তাদের ব্যানার পরিবর্তন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে কারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করবে আর কারা করতে পারবে না। ডাকসুর সিনেটের মাধ্যমে ও পরিষদ পরিষদের মিটিংয়ের মাধ্যমে এটা স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের মৌলবাদী শক্তির রাজনীতি বিগত বছরের ন্যায় বর্তমান ও ভবিষ্যতেও হতে দেওয়া যাবে না। তারা এ বিষয়টা ভালোভাবে জানতে পেরে একেক সময় একেক লেবাস ধারণ করে। ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পবিত্র ধর্মকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ দিবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন কোনো মৌলবাদী ধর্মীয় রাজনীতিকে আশকারা না দেন।

এসময় জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে তিনি বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে এদেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে জীবন দিয়েছে তবুও মুখ দিয়ে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেনি সেই জয় বাংলা স্লোগানকে অস্বীকার করে যারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে চায় তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রগতিশীল রাজনীতির চর্চা যদি না করতো তাহলে বলতাম, যতক্ষণ তোরা জয় বাংলা বলতে পারবি ততক্ষণ তোরা বেঁচে থাকতে পারবি তা নাহলে বেঁচে থাকতে পারবি না।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনো মৌলবাদীদেরকে মেনে নিবেনা। এই মৌলবাদী গোষ্ঠীকে বলতে চাই, আপনারা বিভিন্নভাবে শান্তির ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে আমাদেরকে বিব্রত করেন। মৌলবাদীদেরকে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, ধর্মকে পুঁজি করে মিথ্যা বলে এগিয়ে যেতে দেবোনা। শর্টকাট টেকনিকে বেহেশতে যাওয়া যাবেনা।

তিনি আরো বলেন, আর যারা মানুষ মেরে বা মানুষ মারার টেকনিক শিখেয়ে বেহেশতে যাবেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, তোরা লুকিয়ে লুকিয়ে কেন তোদের সংগঠনের নেতৃত্ব দেস? পিছন থেকে চোরাগোপ্তা হামলা না করে আয়, সামনে এসে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের মোকাবেলা কর। দেখি তোদের কত সাহস। কোন অন্যায়কারীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ছাড় দিবে না। আমাদের নেতাকর্মীরা বেঁচে থাকতে কেউ বাংলাদেশে কোন সা¤প্রদায়িকতা তৈরি করতে পারবেনা।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনে বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সামাজিক কর্মকান্ডের নামে, রাজনৈতিক কর্মকান্ডের নামে, ছাত্র অধিকারের কথা বলে যারা এখানে সংবাদ সম্মেলন করছে, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রেজেন্টেশন কেমন হবে সে বিষয়ে ফতুয়া জারির হিম্মত যারা দেখাচ্ছে এটি সচেতন শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে ক্ষুদ্ধ করেছে। যে পরিচ্ছদে এরা কাজ কর্ম করছে ঢাকায় ক্লাস করছি না কাবুলে ক্লাস করছি বুঝতে পারছি না।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেন্ডলিস্টে ফান্ডামেন্টালিজম নামের কোন ফেইক আইডির জায়গা নেই। আমরা মনে করি এরা টাইমলাইনে একরকম আর ইনবক্সে আরেকরকম। এদের টাইমলাইনে যদি হয় ডেমোক্রেসি, ইনবক্সে হয় ধর্ম। এরা টাইমলাইনে কাওয়ালি, ইনবক্সে তালেবানি। এইসব ফেক আইডিদেরকে আনফ্রেন্ড করতে হবে। এই মোল্লাতন্ত্রের বলি হওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আসেনি। মোল্লাতন্ত্রের কবর রচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এসেছে।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মৌলবাদের সাথে কখনো আপস করবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ বাংলাদেশকে আফগানিস্তান-পাকিস্তান হতে দেবে না। আমাদের এই বাংলাদেশ বীর বাঙালির রক্তে রঞ্জিত। সেই রক্তের প্রতি আমাদের অঙ্গিকার রয়েছে। এ অঙ্গিকার রক্ষার্থে জীবন দিয়ে আমরা লড়বো।



 

Show all comments
  • মিজান বিন রাজ্জাক ৯ এপ্রিল, ২০২২, ৯:০৪ এএম says : 0
    রাষ্ট্র যদি ধর্মীয় রাজনীতি করার সুযোগ দেয় তা হলে ছাত্রলীগ কেন বাধা দেবে। আর দেশটা তো ভট্টাচার্জদের বাপের সম্পত্তি না। তারা আইন করে নীতি মালা করে কেন রুখতে যাবে। ছাত্রলীগ কী প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও ক্ষমতাধর।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ