প্রিয় হুমায়ূন
রফিক মুহাম্মদবাংলাদেশের সোনার ছেলে দেশ জোড়া এক নামহিরে মোতি পান্না দিয়েও হয় না যে তার দাম।তার সৃষ্টি অমূল্য ধন বিশ্বজগৎ সেরালক্ষ কোটি প্রাণের মাঝে করছে
“বাদলের কাছ থেকে একটা সানগ্লাস নিয়ে চোখে পরেছি।
আমার পৃথিবীর রঙ এখন খানিকটা বেগুনি। কাঁধে ঝুলছে চটের
ব্যাগ। ব্যাগে লেখা- জন্ম নিবন্ধন করুন; জন্ম নিবন্ধন বিষয়ক
কোনো সেমিনারে অতিসস্তা এই ব্যাগ নিশ্চয়ই দেয়া হয়েছে।
তারই একটা এখন আমার কাঁধে। ব্যাগে জন্ম নিবন্ধনের কাগজ
পত্রের বদলে আছে চারটা পাঁচশ টাকার ব্যান্ডেল। আমার
গন্তব্য আয়না মসজিদের আস্তনার দিকে।
বাদল বলল, হিমুদা তোমাকে সানগ্লাসে অদ্ভুত লাগছে।
আমি বললাম, আরো অদ্ভুত লাগার জন্য কী করা যায় বলতো?
মাংকি ক্যাপ পরবে? গরমের মধ্যে মাংকি ক্যাপ অদ্ভুত লাগবে।
দে একটা মাংকি ক্যাপ।
মাংকি ক্যাপ খুঁজে পাওয়া গেল না। তবে একটা উলের লাল টুপি
এবং তার সঙ্গে মানানসই কটকটে লাল মাফলার পাওয়া গেল।
বাতল বলল, হাফপ্যান্ট পরবে? তুমি হাফপ্যান্ট পরে হাঁটছো
ভাবতেই যেন কেমন লাগছে।
আমি বললাম বের কর হাফপ্যান্ট। আজ অদ্ভুক দিবস;
ঢাকা শহরের লোকজনের বিস্মিত হবার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে।
বিচিত্র সাজে রাস্তার নেমেছি; কেউ ফিরেও তাকাচ্ছে না।
আমাদের এই শহর চরিত্রের দিক দিয়ে পৃথিবীর বড় শহরদের
মতো হয়ে যাচ্ছে। কেউ কাউকে দেখবে না। ব্যস্ত ভঙিতে
হাঁটবে। সবার মধ্যে ট্রেন ধরার তাড়া..।
কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে না পারলেও একটা কুকুরের দৃষ্টি
আমি আকর্ষণ করলাম। কুকুরটা ঘিয়া কালারের। তার
বিশেষত্ব হলো লেজটা কাটা। রবীন্দ্রনাথ এরকম কুকুরকে
দেখে লিখে দিলেনÑ
‘আত্মীয় কেহ নাই নিকট কি দূর
আছে এক লেজকাটা ভক্ত কুকুর।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।