পাকিস্তান সফরের টেস্ট সিরিজে অসাধারণ বোলিং করায় অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ‘-এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন। মার্চ মাসের সেরার লড়াইয়ে তার প্রতিপক্ষ দুই অধিনায়ক, পাকিস্তানের বারব আজম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট।

গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে বুধবার সেরার লড়াইয়ে থাকা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি। মেয়েদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের স্পিনার সোফি এক্লেস্টোন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার র‍্যাচেল হেইন্স ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার লরা উলভার্ট।

দুই যুগ পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে টেস্ট সিরিজে জয়ের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের লড়াইয়ে জেতে ১-০ ব্যবধানে। সফরকারীদের এই সাফল্যে বল হাতে বড় অবদান রাখেন অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিদেশ সফরে যাওয়া কামিন্স। রান জোয়ারের প্রথম দুই ম্যাচ হয় ড্র। লাহোরে পাকিস্তানকে ১১৫ রানে হারানো শেষ টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করেন কামিন্স। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ৫৬ রানে নেন ৫ উইকেট, পরের ইনিংসে তার শিকার ছিল ২৩ রানে তিনটি। সিরিজে ২২.৫০ গড়ে রান দিয়ে ১২ উইকেট নেন কামিন্স।

বাবর আজম: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দল টেস্ট সিরিজ হারলেও ব্যাট হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন বাবর। দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে করেন ৩৯০ রান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক খেলেন রেকর্ড গড়া ১৯৬ রানের ইনিংস। যা টেস্টে তার ক্যারিয়ার সেরাও।

এরপর অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজেও হেসেছে বাবরের ব্যাট। তিন ওয়ানডের দুটি হয়েছে গত মাসে। যেখানে প্রথম ম্যাচে করেন ৫৭ রান। দ্বিতীয়টিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৪৯ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়া ম্যাচে এই ব্যাটসম্যান খেলেন ১১৪ রানের ইনিংস।

ক্যারিবিয়ান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটঃ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গত মাসে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়ে সেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ব্র্যাথওয়েট। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক তিন টেস্টের সিরিজে ৮৫.২৫ গড়ে দুই ফিফটি ও এক সেঞ্চুরিতে করেন সর্বোচ্চ ৩৪১ রান। জেতেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ব্রিজটনে হওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচানোর নায়ক ছিলেন ব্র‍্যাথওয়েট। ৪৮৯ বলে ১৬০ রানের ম্যারাথন ইনিংসের পর খেলেন অপরাজিত ৫৬ রানের আরেকটি চমৎকার ইনিংস।

উল্লেখ্য, গত বছর থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে। সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।